আশাশুনিতে মৎস্য ঘেরের মাছ লুটের প্রতিকারে সংবাদ সম্মেলন

আশাশুনিতে মৎস্য ঘেরের বাঁধ ও নেটপাটা কেটে মাছ লুটের প্রতিকারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে আশাশুনি প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার মহিষাডাঙ্গা গ্রামের মৃত বিনোদ বিহারী বিশ্বাসের ছেলে সুশীল কুমার বিশ্বাস লিখিত বক্তব্য পাঠ ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি ১৯৫৮ সালে মৃত বানীকান্ত সরকারের ছেলে গয়ারাম ও বিপীন বিহারীর নিকট থেকে ধুলিহর মৌজায় সাবেক ১০৯১/১৪ নং খতিয়ানে এবং হাল ১০৩৬৩ নং খতিয়ানে সাবেক ১৭২৯২ ও হাল ১৬৩৮৯ নং দাগে ১.৫২ একর জমি ক্রয় করেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত সেখানে ভোগদখল করে আসছেন। জমির এসএ রেকর্ড ও মাঠপর্চা তাদের (ক্রেতাদের) নামে হয়েছে। কিন্তু প্রিন্ট পর্চায় বিক্রেতারা যোগসাজশ করে ৪৬ শতক জমি ক্রেতার নামে রেখে বাকী জমি বিক্রেতা (গয়ারাম দিং) এর নামে করিয়ে নিয়েছেন। উক্ত প্রিন্ট পর্চাকে পুঁজি করে গয়ারাম থানায় অভিযোগ দাখিল করলে অভিযোগটি তদন্তাধিন আছে। অভিযোগ তদন্তাধিন থাকাবস্থায় তারা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সেক্রেটারি রণজিৎ কুমার বৈদ্যর শরণাপন্ন হলে বিষয়টিকে তিনি অন্তর্নিহিত ছল চাতুরীর আশ্রয় অবলম্বন করে আপোষ মীমাংসার প্রস্তাব করেন। সেমতে গত ১৩ জুলাই শুক্রবার দুপুরে তিনি কয়েকজনকে সাথে নিয়ে বাদী গয়ারামের বাড়িতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করেন। এরপর বিবাদী পক্ষকে না ডেকে তাদেরকে একতরফা ভাবে উক্ত জমি দখলের পরামর্শ দিয়ে চলে আসেন বলে তিনি দাবী করেন। এরপর ১৪ জুলাই ভোর ৫ টার দিকে জমি বিক্রেতা গয়ারামের ছেলে বিজন, বিজনের ছেলে মুরারি ও জয়, তাদের জোরদার অরবিন্দু মন্ডল, পঞ্চানন, নিতাই, সত্য মৎস্য ঘেরে অনধিকার প্রবেশ করে ষাট বছরের দখলীকৃত ঘেরের বাঁধ ও নেটপাটা কেটে গয়ারামের ঘেরের সাথে একাকার করে দেয়। তারা ঘেরের অনুমান এক লক্ষ টাকার মাছের ক্ষয়ক্ষতি ও লুটতরাজ করেছে। এব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। এ সময় উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক হিরুলাল বিশ্বাস ও সুখেন বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)