সাতক্ষীরায় বেড়েছে মাছ ও সবজির দাম

বৃষ্টির অজুহাতে সম্প্রতি সাতক্ষীরা জেলার মাছ ও সবজির দাম বেড়েছে হু হু করে। বাজারে সবজি ও মাছের দাম বেশ চড়াভাব বিরাজ করায় নিম্ন আয়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছে।

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও ৪০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। তবে আলুর দাম রয়েছে ২০ থেকে ২২ টাকার মধ্যে। সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড়বাজার ঘুরে বুধবার এ চিত্র দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, করলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, পটল বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, বেগুন প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০টাকা, ছোট ও কাটা বেগুন প্রতি কেজি ৩০ ও কালো বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ওল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, ঝিঙে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, বরবটি ৫০, ঢেঁড়স ৩০, কাঁচা কলা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মান ভেদে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা থেকে ২২ টাকায়। সালাদের উপকরণ শশা মান ভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লেটুস পাতা ২০ টাকা আটি, লেবু হালি ১০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে প্রভাব পড়েনি শাকের বাজারে। পাট শাক প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকায়, ডাটাশাক প্রতি আঁটি ৫ থেকে ১০ টাকা, কলমি শাক ৫ টাকা আঁটি, পুঁইশাক আঁটি ১০ টাকা এবং লাউ শাক আঁটি ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কচুরমুখি প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ২০ টাকা। মাছের বাজারেও বাড়তি দাম লক্ষ্য করা গেছে। প্রতি কেজি তেলাপিয়া, পাঙ্গাস বা সিলভারের মতো মাছ ১১০ থেকে ১৫০ টাকা থেকে দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি কই, বোয়াল, কাজলী বা টেংরা কিনতে হলে গুণতে হবে ৪০০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা, বড়-মাঝারি রুই, কাতলা বা মৃগেল ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে ওজন ভেদে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে মাংসের বাজারে তেমন পরিবর্তন আসেনি। প্রতি কেজি গরুর মাংস এখনও ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। মাইকিং করে মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৩৫০টাকায়। এছাড়া খাশির মাংস ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা এবং ফার্মের মুরগি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি।

ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই জানান, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রত্যেকটি সবজির দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিক্রেতারা সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বৃদ্ধির কারণেই এ জন্য দায়ি করেছেন। বৃষ্টির অজুহাত দেখিয়েছেন অনেক বিক্রেতা।

নিন্ম আয়ের ক্রেতারা জানান, হঠাৎ করে সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বৃষ্টি বাদলার দিনে এমনিতেই আয় রোজগার কম হয় তার উপর সবজির মূল্যবৃদ্ধি তাদের উপর মড়ার উপর খাড়ার ঘা বসিয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)