‘মা’ প্রধানমন্ত্রীকে বলো ‘আমাকে যেন আর না মারে’

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খান রিমান্ড বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরজি জানাতে বলেছেন তাঁর মাকে। তাঁকে যেন আর না মারা হয়, সে বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।

রাশেদের সঙ্গে তাঁর মা সালেহা বেগমের দেখা হয়েছিল মঙ্গলবার ডিবি কার্যালয়ের সামনে। রাশেদকে তখন ডিবি পুলিশের সদস্যরা হাঁটিয়ে নিকটবর্তী ঢাকা মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ছেলের পিছু পিছু হাঁটতে গিয়ে দু-এক মিনিট যে কথা হয়েছে, তা–ই তিনি গতকাল বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন।

রাজধানীর ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে সালেহা বেগম ছাড়াও রাশেদের ছোট বোন সোনিয়া খাতুন ও স্ত্রী রাবেয়া আলো উপস্থিত ছিলেন।

ছেলেকে হঠাৎ দেখতে পেয়ে তাঁকে ধরতে গিয়েছিলেন সালেহা বেগম। ডিবি পুলিশের সদস্যরা তখন জানিয়ে দেন যে রাশেদকে ধরা যাবে না। সাংবাদিকদের সালেহা বেগম বলেন, ‘রাশেদ তখন বলল, আমাকে ধোরো না। সামনে যাও। আমার জন্য তুমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাও। তাঁকে বোলো, আমি কোনো রাজনীতি করি না। আমি সাধারণ ছাত্র। ওনাকে বোলো, আমাকে যেন আর না মারে। আমার রিমান্ড যেন বাদ দেয়। তুমি এই আবেদন কোরো। আর আমার জন্য দোয়া কোরো মা।’

সালেহা বেগম বলতে থাকেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটাই আবেদন, আমার মণির মুক্তি চাই। সে তো মা, দেশের মা, আমার মা, তার কাছে ভিক্ষা চাই। সে আমার সন্তানকে ভিক্ষা দিক আমার কাছে।’

রাশেদের সঙ্গে দেখা হতে পারে—এই আশায় ডিবি কার্যালয়ে প্রায় প্রতিদিনই অপেক্ষায় থাকেন রাশেদের মা, বোন ও স্ত্রী। রাশেদের স্ত্রী রাবেয়া আলো বলছিলেন, ‘আমরা প্রত্যেক দিন সকালে আসি। ডিবির আশপাশে ঘুরঘুর করি। অপেক্ষায় থাকি। ভাগ্যক্রমে গতকাল দেখা হয়ে যায়।’

রাবেয়া বলেন, ‘রাশেদ কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না। সাধারণ জীবন যাপন করে। ছাত্ররা চেয়েছিল বলেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়েছিল।’ মঙ্গলবার যখন দেখা হয়েছে, তখন রাশেদ তাঁকেও বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বোলো, আমি তাঁদের বিপক্ষে ছিলাম না। এটা কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কাজ ছিল না।’

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)