সাতক্ষীরায় মাদক সম্রাট সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার পর মরিয়া তার বাহিনী

ডিবি পুলিশ এক বিশেষ অভিযানে একটি ওয়ানশুটার গানসহ কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ি সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আখড়াখোলা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সাদ্দাম হোসেন (৩০) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার যোগরাজপুর গ্রামের আনোয়ার মোড়লের ছেলে। আখড়াখোলা বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ জানান, সাদ্দামসহ কয়েকজন একটি মহেন্দ্র নিয়ে আখড়াখোলা বাজার এলাকায় ডাকাতি করতে আসে মঙ্গলবার গভীর রাতে। মহেন্দ্রটি তারা বাজারের পাশে এক স্থানে রেখে তুজুলপুর রাস্তা বেয়ে হাঁটতে থাকে। এ সময় তার বাড়ির কাছাকাছি আসতেই আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ডিবি পুলিশের একটি দল তাদেরকে ধাওয়া করে। হাসানুর ও নজরুলসহ অন্যরা পালিয়ে গেলেও সাদ্দামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গানসহ কিছু পরিমান মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক রিয়াজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে সাদ্দাম হোসেনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সাদ্দামকে অস্ত্র আইন ও মাদক আইনের পৃথক দু’টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে স্থানীয় একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, দেবনগরের গাজীর বটতলা থেকে দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে সাদ্দাম হোসেন ও হাসানুরের নেতৃত্বাধীন একটি বাহিনী। বাবা পাটকেলঘাটার একজন শিক্ষক হলেও তিনি মারা যাওয়ার পর তারা মায়ের হাত ধরে দেবনগরে মামার বাড়িতে চলে আসে। সাদ্দাম হোসেনের হাত ধরে তারা মাদক সম্রাজ্য গড়ে তোলে। তাদের দলে নাম লেখায় দেবনগর, যোগরাজপুর এলাকার কয়েকজন। স্থানীয় দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, অন্যদের মধ্যে সাদ্দামের সঙ্গে ব্যবসা করতো দেবনগরের আসাদুলের ছেলে ইলিয়াস হোসেন মহিদুল, মৃত ছোবহান আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে কালু ডাকাত, মধুর ছেলে জাহিদুল ইসলাম, আলীমের ছেলে ও রওশনের নাতি জনি, নুরুল ইসলাম চৌকিদারের ছেলে মিজানুর রহমান। হাসানুর কয়েক মাস আগে ১৩ বস্তা ফেনসিডিলসহ ঢাকায় ধরা পড়ে। এখবর পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় মহিদুল, নজরুল, জনি, মিজানুরসহ তাদের কয়েকজন সহযোগি দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। নজরুল ইসলাম কয়েক মাস আগে ছয়ঘরিয়া লস্কর ফিলিং স্টেশনে ডাকাতি করে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে নজরুল কক্সবাজারে বসিরের ট্রাক ডাকাতি করে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে লাফিয়ে পড়ে। বর্তমানে সাদ্দাম ও হাসানুর সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)