সাংবাদিকের জমি জবর দখলের চেষ্টা করছে

কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের দুলাবালা গ্রামের ত্রাস মোমিন বাহিনী সাংবাদিকের মলেঙ্গা গ্রামের রেজিঃ ও দখলকৃত জমি জবর দখলের চেষ্টা করছে। ঘটনার সূত্রে জানা যায়, ৬৯৫-১৮নং দলিলে মৌজা-তেলিখালী, এস,এ-৯৬ ও ১৩২ এ দাগ-৫৬৯, ৫৬৯/৮০৯,৫৬৯/৫১০দাগে প্রায় ৪ বিঘা জমি এস,এ রেকর্ডীয় মালিক তার পিতা জি,এম, শাহাদাৎ হোসেন দীর্ঘকাল ভোগ দখলের পর গত ইং-২০/০২/২০১৮তারিকে সাংবাদিক জি,এম, গোলাম রব্বানীর নামে রেজিঃ করে দেন। ঐ জমি এবছর আমন ফসলের চাষ করার জন্য গত ২৯/০৬/২০১৮ইং তারিক সম্পূর্ণ জমি চাষ কাজ করে কিছু জমিতে বীজ তলা তৈরি করে ধান ফেলে আসে। এরপর দুলাবালা গ্রামের ঢালাইকার মুনসুর সরদারের বড় পুত্র কদম তলা বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মোমিন কোন প্রকার বৈধ কাগজ পত্র ছাড়াই ভুয়া এস,এ রেকর্ডীয় কাগজ পত্র দেখিয়ে ঐ তপশীল বর্ণিত জমি আইন অমান্য করে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হঠাৎ ৩০/০৬/২০১৮তারিখ মলেঙ্গা গ্রামে আজিবার মহাজনের এক মাত্র পুত্র আব্দুল্লাহ মহাজন হঠাৎ জমিতে নেমে কোদাল দিয়ে আইল ছাটতে থাকে। এসময় সাংবাদিকের ছোট ভাই জি,এম,গোলাম মোস্তফা ভাগরা হিসাবে সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে তাকে জমিতে থেকে উঠে যেতে বলে। তখন আব্দুল্লাহ মহাজন তার হাতে থাকা কোদালের আছাড় দিয়ে তাকে মাজায় আঘাত করলে চাষকৃত জমিতে লুটিয়ে পড়ে চিৎকার করতে থাকে গোলাম মোস্তফা। তার চিৎকারে এলাকার জনগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আব্দুল্লাহ মহাজন সহ তার পিতা আজিবার মহাজন দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এবিষয়ে থানায় অবহিত করার পর প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহত গোলাম মোস্তফা কে দ্রুত ঘটনাস্থলে ভর্তি করার পরামর্শ দেওয়ায় তাকে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এসময় পুলিশ প্রশাসন বিবাদীদের আটক করার চেষ্টা করলে তারা পলায়ন করে। এরপর গত ০২/০৭/২০১৮ তারিখ আহত গোলাম মোস্তফা কালিগঞ্জ হাসপাতাল থেকে এক্সরে করার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রেকর্ড করায় সে সাতক্ষীরায় চলে যায় এবং তার বড় ভাই সাংবাদিক গোলাম রব্বানী বাড়ি না থাকায় ঐ বাহিনী হঠাৎ আবারও জমিতে নেমে জমি দখলের চেষ্টা করে। এলাকাবাসী সূত্রে ও নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির অভিযোগে জানা যায়, মুদি ব্যবসায়ী মোমিন এলাকার তার মুদি ব্যবসার অন্তরালে যুব সমাজ ধ্বংসকারী ব্যবসা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। বর্তমানে তারা ৩০/৩৫ বিঘা জমি সহ লক্ষ লক্ষ টাকার পাহাড় জমিয়েছে। ফাঁকি দিচ্ছে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকার সরকারী রাজস্ব। এছাড়া মোমিন তার দোকানে ভারতীয় অবৈধ মালামাল বিক্রি সহ মেয়াদ উত্তীর্ণ মুদি মালা ও নষ্ট তেল বিক্রি করে। যা খেয়ে অনেক ক্রেতা সহ শিশুরা মারাত্মক জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর এ মোমিন দোকানদারের সাথে যোগ দিয়েছে একই গ্রামের আজিবার মহাজন, তার পুত্র আব্দুল্লাহ মহাজন, তার জামাতা ও ভাইপো সহ অজ্ঞাত কয়েকজন। এরা সবাই এলাকার নামা অপকর্মে জড়িত। সরকারী দলের নাম ভাঙ্গিয়ে সরকারের উন্নয়নের ভাবমূর্তি নষ্ট করে চলেছে আজিবার পুত্র। এছাড়া যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন সে দলের ছত্রছায়ায় থেকে অন্যের ভূমি দখল সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকে তারা। এলাকাবাসীর কেউ প্রতিবাদ জানালে তাকে নানা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখায়। ফলে এলাকাবাসী ভয়ে মোমিন বাহিনীর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়। এলাকাবাসী প্রশাসনের গোপন তদন্তের মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তার সহ শাস্তির দাবী জানিয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)