কীভাবে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলবেন?

মানুষ মত এটি লক্ষ করা স্বাভাবিক যে আপনি ক্রমাগত বিকাশিত হন,উভয় শারীরিক ও মানসিক ভাবে। পরিবর্তন হতে কে না চায়।আপনার ব্যক্তিত্ব অপরিবর্তন রেখে নিজেকে এক নতুন রূপে তৈরি করতে পারেন। কি উপায়ে নিজেকে পরিবর্তন করবেন, সকলের নিকট নিজেকে আকর্ষনীয় করে তুলবেন তার কিছু পরামর্শ দেয়া হল:

প্রথম ধাপ:

পুরোনো জামাকাপড় পরিষ্কার রাখা:পরিধানের জন্য হয়তো নতুন পোশাক নাও থাকতে পারে কিন্তু পুরোনো কাপড় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে পরিধান করলে নিজেকে বেশ পরিপাটি দেখায়।পুরোনো যে পোশাকটি নিজেকে ভাল মানায়,সে পোশাকটি নির্বাচন করা উচিত।

নিজেকে নতুনভাবে সাজানো মানে নিজের অতীতের সবকিছু পরিবর্তন নয়।পরিবেশের সাথে মানানসই পোশাক নির্বাচন করা উচিত।নিজের অতীতের সব বৈশিষ্ট, আচার-আচরণ সব কিছুর পরিবর্তন প্রয়োজন নেই।পরিপাটি  থাকাটাই স্মার্টনেস।

বাজেট মূল্যনির্ধারণ : আপনি যদি নিজেকে পুরোপুরিভাবে বদলে ফেলতে চান,তাহলে আপনাকে আপনার বাজেটের কাছাকাছি মূল্যনির্ধারণ করতে হবে,যা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার।কিন্তু সবসময় এই নীতির কোন প্রয়োজন হয় না।নিজেকে পরিবর্তনের জন্য নতুন পোশাক কিনে টাকা ব্যয় করার কোন প্রয়োজন নেই।এটা শুধুমাত্র খরচেরও বিষয় নয়,যথেষ্ট চাপের বিষয়।

  • আপনাকে অবশ্যই বাস্তবিক হতে হবে।যা ক্রয় করার সামর্থ্য আছে শুধুমাত্র সে জিনিসই কেনা উচিত।নিজের ক্ষমতার বাইরে কোনকিছু কেনা উচিত নয়।তার মানে এই নয় যে সস্তায় অপ্রয়োজনীয় অনেক কিছু কিনবেন। আপনার অবস্থান থেকে অল্প হলেও ভালোমানের কিছু ক্রয় করা উচিত।এছাড়া আপনি অল্প করে টাকা জমিয়ে ভবিষ্যতের জন্য একটি ভালো পণ্য ক্রয় করতে পারেন।
  • নতুন কিছু ক্রয় করার প্রতি আগ্রহ থাকা ভালো। এতে নিজেকে জন্য সবচেয়ে নিঁখুত পণ্যটি ক্রয় করা সুবিধা হয়।ভালোমানের মানানসই পণ্য কেনা সবসময় সহজ নয়।এতে অনেক সময় নষ্ট হয় এবং প্রচুর ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়।
  • এটা মনে করার কোন কারন নেই যে ভালোমানের পণ্য মানেই দামি কিছু।স্বল্প দামেও আপনি আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই পণ্য ক্রয় করতে পারেন।
  • আপনার পুরোনো একটি পোশাকের সাথে সাজসজ্জায় একটি নতুন কিছু যোগ করতে পারেন।যেমন :একটি মানানসই রোদ চশমা বা চুলের কাট পরিবর্তন করতে পারেন।

)আলমারির পোশাক সম্পর্কে নতুন করে জানা:আপনার আলমারিতে পূর্বে কি ধরনের পোশাক আছে, কতটি পোশাক আছে তা নতুন করে আবার জানতে হবে।এমন অনেক পোশাক থাকে  যা ভাজে থেকে যায়।এসব পোশাক নতুন করে পরিধান শুরু করতে হবে।

  • আপনার লাইফস্টাইল অবশ্যই সমাজ,পরিবেশ, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মানানসই হতে হবে।
  • আপনার আলমারি থেকে এমন পোশাক বেছে নিতে হবে যেন শুধু ফ্যাশনেবল না হয় সাথে যেন স্টাইলিশও হয়।ফ্যাশন হল প্রচলিত ধারা।অপরদিকে স্টাইল হলো কিভাবে সমাজে আপনি নিজেকে উপস্থাপন করছেন। ফ্যাশন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন করা হয় কিন্তু নিজস্ব স্টাইল থাকে আজীবন ।তাই সেই পণ্য নির্বাচন করা উচিত যা আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই এবং যা পরিধানে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

পোশাকের রং নিরপেক্ষ সামাঞ্জস্য হওয়া:পোশাকের রং এমন হওয়া উচিত নয় যাতে তা আপনাকে পরিবেশের সাথে বেমানান দেখায়। যেমন: সবুজ,কালো,ধূসর,বাদামী,সাদা,নেভীব্লু এসব রংয়ের পোশাক সব পরিবেশের সাথে মানানসই।

পোশাকের সঙ্গে অনুষঙ্গ:পোশাক ও আনুষাঙ্গিক দিটোই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়ায় যখন  পরিধানের  জন্য একটি নতুন পোশাক বাছাই করেন।পোশাকের সাথে মিলিয়ে আনুষাঙ্গিক গয়না,ঘড়ি,রোদচশমা,ব্যাগ,জুতা,টুপি ইত্যাদি আপনার মাঝে একটি দুর্দান্ত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

আপনাকে আকর্ষণীয় করে তোলে।আপনার ব্যক্তিগত শৈলী প্রকাশ পায় আপনার আনুষাঙ্গিক ব্যবহৃত জিনিসপত্র দ্বারা।

নারীর পাশাপাশি পুরুষের ও পোশাকের সঙ্গে মানানসই আনুষাঙ্গিক অন্যান্য বিষয় প্রাধান্য দেওয়া উচিত।মনে রাখতে হবে পোশাকের সাথে ব্যবহৃত আনুষাঙ্গিক এর উদ্দেশ্য থাকা উচিত,এটি আপনার রুচিবোধ প্রকাশ পায়।

দ্বিতীয় ধাপ:

নিজের অবস্থান অনুযায়ী  চুলের কাট:নিজেকে সকলের নিকট কীভাবে উপস্থাপন করবেন তা নির্বাচন করা জরুরি। চুলের কাটে আপনার ব্যক্তিত্তের স্পষ্ট প্রতীক।মানাসই

চুলের দৈঘ্য, রং,স্টাইল আপনাকে করে আকর্ষনীয়।

মুখের আকৃতির সঙ্গে মানাসই চুলের কাট:

ব্যক্তিভেদে মুখের আকৃতি ভিন্ন হয়।যেমন:গোলাকার,পানপাতা, চৌকোনাকৃতি।আপনার মুখের ধরনের সাথে মানানসই একটি চুলের কাট করে দিতে পারে আকর্ষনীয় ও অনন্য। চুলের রং, কাট সম্পর্কে হেয়ার এক্সপার্ট ও রুপচর্চাবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

তৃতীয় ধাপ:

আপনার পোশাক ও চুলের সঙ্গে আাপনার মেকাপ এর বিষয়ও খুব গুরুত্বপূর্ণ।পোশাকের ভিন্নতার সঙ্গে সাজেও ভিন্নতা আনা জরুরি। সব ধরনের সাজ সব পরিবেশে মানানসই নয়।

নিজেকে আকর্ষনীয়, সুন্দর ও স্মার্ট দেখানোর জন্য নতুন পোশাক বা দামি পোশাকের প্রয়োজন নেই।উপরের নিয়মগুলো অনুসরণ করলে নিজের ব্যক্তিত্ব ধরে রাখবে, আপনি সকলের চোখে হয়ে উঠবেন অনন্য।পরিশেষে নিজেকে সুন্দর রাখার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যাভাস পরিমিত হওয়া জরুরী।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)