একাদশ শ্রেণিতে দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন শুরু

একাদশ শ্রেণিতে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয় পর্যায়ে অনলাইনে ভর্তির আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। ইন্টারনেট অথবা মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে বুধবার পর্যন্ত অনলাইনে এ আবেদনপত্র দাখিল করা যাবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষাবোর্ড অনুমোদিত কলেজ-মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে এ আবেদন করা যাবে।

গত কয়েক বছরের মতো এবারো এসএসসির ফলের ভিত্তিতে কলেজে ভর্তি করা হচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই নির্বাচিত কলেজে ভর্তি নিশ্চয়ণ করতে পারবে। এসএমএস-এর পাশাপাশি অনলাইনেও আবেদন করা যাবে। তবে এবার প্রার্থী সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজের জন্য আবেদন করতে পারবে। বোর্ড কর্তৃপক্ষ একটি কলেজ নির্ধারণ করবে। মনোনীত কলেজটি পরিবর্তন করতে চাইলে মাইগ্রেশনেরও সুযোগ থাকবে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী এর আগে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়নি তারা কোনো প্রকার ফি ছাড়াই নতুন করে আবেদন (নতুন কলেজ সংযোজন/বিয়োজন) করতে পারবে। যারা আগে আবেদন ফি জমা দিয়েছে কিন্তু আবেদন করেনি, তারাও আবেদন করতে পারবে।

অন্যদিকে যারা আগে ভর্তির জন্য আবেদন করেনি অথবা নির্বাচিত হয়েও ভর্তি নিশ্চয়ন করেনি তারা টেলিটক/রকেট/শিওরক্যাশের মাধ্যমে ১৫০ টাকা ফি জমা দিয়ে আবেদন করতে পারবে।

এর আগে ১ম পর্যায়ে আবেদন প্রক্রিয়া ১৩- ২৪ মে পর্যন্ত চলে।

অনলাইনে আবেদনের লিঙ্ক:
www.xiclassadmission.gov.bd

আবেদন পদ্ধতি:
অনলাইনে আবেদনের আগে শিক্ষার্থীকে টেলিটক-রকেট-শিওরক্যাশ ব্যবহার করে আবেদন ফি SMS-এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। প্রার্থীকে তার এসএসসি/সমমানের পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ড, পাসের সন এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে টেলিটক-রকেট-শিওরক্যাশ-এর মাধ্যমে ১৫০/- টাকা ফি জমা দিতে হবে।

ফি প্রদান পদ্ধতি:
টেলিটকের প্রিপেইড মোবাইল ব্যবহার করতে হবে। মোবাইলের মেসেজে যেয়ে নিম্নলিখিত নিয়মে আবেদন ফি দিতে হবে:

CAD<space>WEB<space>এসএসসি-সমমান পরীক্ষা পাসের Board এর নামের প্রথম তিন অক্ষর<space>এসএসসি-সমমান পরীক্ষা পাসের Roll<space> পাসের বছর লিখে 16222 নম্বরে সেন্ড করতে হবে।

ফিরতি এসএমএস-এ আবেদনকারীর নাম ও ফি বাবদ ১৫০ কেটে নেয়ার বিষয়টি জানিয়ে একটি পিনকোড প্রদান করা হবে।

ফি প্রদানে সম্মত থাকলে ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে CAD<space>YES<space>PIN<space>CONTACT NUMBER(বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত মোবাইল নম্বর) লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

ফি সঠিকভাবে জমা হলে প্রার্থীর মোবাইলে নিশ্চিতকরণের একটি Transaction ID সহ SMS যাবে।

রকেট-শিওরক্যাশের মাধ্যমে আবেদনের পদ্ধতি পরবর্তীতে এখানে আপডেট করা হবে। এছাড়াও এই পোস্টের শেষে প্রদত্ত বিজ্ঞপ্তি থেকে টেলিটক-রকেট-শিওরক্যাশের মাধ্যমে আবেদন পদ্ধতি জানতে পারবেন।

আবেদন ফি জমা দেওয়ার পর আবেদনকারীকে নির্ধারিত website- এ (www.xiclassadmission.gov.bd) Apply Online -এ Click করতে হবে।

এরপর প্রদর্শিত তথ্য ছকে এসএসসি-সমমান পরীক্ষা পাসের রোল নম্বর, বোর্ড ও পাসের সন এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সঠিকভাবে এন্ট্রি করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ হলে আবেদনকারী একটি ফরম পাবে, সেটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। একইভাবে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে প্রার্থীকে।

SMS এর মাধ্যমে আবেদনের পদ্ধতি
SMS এর মাধ্যমে আবেদন শুধুমাত্র টেলিটক প্রি-পেইড সংযোগ থেকে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করা যাবে। আবেদনের জন্য মোবাইল এর মেসেজ অপশনে গিয়ে এভাবে টাইপ করতে হবে-

CAD <space> ভর্তিচ্ছু কলেজ-মাদরাসার EIIN<space>ভর্তিচ্ছু গ্রুপের নামের প্রথম দুই অক্ষর <space>এসএসসি-সমমান পরীক্ষা পাসের বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর<space>পাসের রোল নম্বর <space> পাসের সন <space>রেজিস্ট্রেশন নম্বর <space> ভর্তিচ্ছু শিফটের নাম <space>ভার্সন<space>কোটার নাম (যদি থাকে)

এরপর মেসেজটি send করতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।

উদাহরণ: CAD 696954 SC DHA 123456 2017 1212665968 M B FQ

এখানে 696954-ভর্তিচ্ছু কলেজ/সমমান প্রতিষ্ঠানের EIIN
SC-ভর্তিচ্ছু গ্রুপের নামের প্রথম দুই অক্ষর (Science= SC)
DHA-এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর(ঢাকা বোর্ডের ক্ষেত্রে)।
123456-পাসের রোল নম্বর
2017-পাসের সন
1212665968-রেজিস্ট্রেশন নম্বর
M- শিফটের নামের প্রথম অক্ষর (মর্নিং)
B-ভার্সন এর প্রথম অক্ষর(বাংলা)
FQ-মুক্তিযোদ্ধা কোটা।

ভর্তিচ্ছু গ্রুপের কিওয়ার্ডঃ
* সাধারন বোর্ড: SC-Science, HU-Humanities, BS-Business Studies, HE-Home Economics, IS-Islamic Studies.

* মাদরাসা বোর্ড: MS-Science, GE- General, MU-Muzabbid, HQ-Hifzul Quran

* কারিগরি শিক্ষা বোর্ড:(HSCVOC) AM –Agro Machinery, AU-Automobile,
BC-Building Maintenance and Construction, CG-Clothing and Garments Finishing,

CO-Computer Operation and Maintenance, DC-Drafting Civil,
EW-Electronic Works and Maintenance
EC-Electronic Control and Communication,

FC-Fish Culture and Breeding, MT-Machine Tools Operation and Maintenance, WF-Welding and Fabrication, IW-Industrial Wood Working, WP-Wet Processing, YF- Yarn and Fabric Manufacturing, WS- Warehouse and Storekeeping, VH-Home Science,HA-HSCBM (Accounting) HB-Banking, HC-Computer Operation,

ED-Entrepreneurship Development এবং

AG-Agriculture.
শিফটের ক্ষেত্রে:
M-Morning, D-Day, E-Evening এবং ভর্তিচ্ছু কলেজে শিফট না থাকলে N লিখতে হবে।

ভার্সনের ক্ষেত্রে:
B-বাংলা ভার্সন আর E-ইংলিশ ভার্সনের এর ক্ষেত্রে লিখতে হবে।

কোটার ক্ষেত্রেঃ
* মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য FQ এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধিনস্ত দপ্তরসমুহ, স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারী এবং প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্যদের সন্তানদের কোটার জন্য EQ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঘোষিত বিশেষ কোটার জন্য SQ লিখতে হবে।

কোন শিক্ষার্থী একাধিক কোটার আবেদন করার যোগ্যতা থাকলে কমা (,) দিয়ে একাধিক কোটা উল্লেখ করতে হবে। প্রবাসী কোটার ক্ষেত্রে PQ লিখতে হবে।

কোন ধরনের কোটা না থাকলে কোটার জায়গায় কিছু লিখতে হবেনা।

উল্লেখ্য যে, বিকেএসপি, বিভাগীয় ও জেলা কোটার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিবেচিত হবেন এবং এ জন্য শিক্ষার্থীকে ইনপুট দিতে হবে না।

ফিরতি এসএমএস-এ আবেদনকারীর নাম, কলেজ-মাদরাসার EIIN ও নাম, গ্রুপের নাম ও শিফটসহ ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেয়া হবে তা জানিয়ে একটি PIN প্রদান করা হবে।

আবেদনে সম্মত থাকলে Message অপশনে গিয়ে লিখতে হবে-
CAD<space>YES<space>PIN<space>CONTACT NUMBER (শিক্ষার্থী-অভিভাবকের ব্যবহৃত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত মোবাইল নম্বর) লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে:
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা আবেদন কারীদের ক্ষেত্রে রোল নম্বর এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর একই বলে বিবেচিত হবে। এ ক্ষেত্রে রোল নম্বরে অন্তর্ভুক্ত ‘-’ চিহ্নটি উপেক্ষা করতে হবে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তীর্ণ প্রার্থীদেরকে শুধু টেলিটকের মাধ্যমে ফি প্রদান করতে হবে।

SMS-এর মাধ্যমে একজন আবেদনকারী একাধিক প্রতিষ্ঠানে (অনধিক-১০টি)/একই প্রতিষ্ঠানের একাধিক গ্রুপ অথবা একাধিক শিফটে আলাদাভাবে আবেদন করতে পারবে। প্রতি ক্ষেত্রেই ফি বাবদ ১২০/- (একশত কুড়ি টাকা) প্রদান করতে হবে।

একজন প্রার্থী ইন্টারনেট ও SMS উভয় পদ্ধতি মিলে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করতে পারবে।

একই Contact mobile number ব্যবহার করে একাধিক শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে না। একই শিক্ষার্থীর একাধিক আবেদনে একই Contact mobile number ব্যবহার করতে হবে।

আবেদন ফিঃ
গতবারের মতো এবারও অনলাইনে আবেদনের জন্য ১৫০ টাকা এবং এসএমএসের মাধ্যমে আবেদনের জন্য ১২০ টাকা ফি দিতে হবে। তবে এসএমএসে আবেদনের জন্য প্রতি কলেজের জন্য ১২০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ১ টি কলেজে আবেদন করলেও ১৫০/- টাকা চার্জ করবে আবার ১০টি করলেও ১৫০/- চার্জ করবে। অর্থাৎ এসএমএস এ আবেদন পদ্ধতির মত কলেজ প্রতি আলাদা চার্জ করা হবে না।

আবেদন যাচাই বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তির সময়সীমা ২৫ মে থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত। শুধুমাত্র পুনঃনিরীক্ষণের পর ফলাফল পরিবর্তিতদের ক্ষেত্রে আবেদনের সময়সীমা ০৫ থেকে ০৬ জুন পর্যন্ত চলবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী ১ম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ হবে ২১ জুন।

২য় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর Selection নিশ্চয়ন ২২ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত।শিক্ষার্থী নিশ্চিত না করলে ২য় পর্যায়ের Selection এবং আবেদন বাতিল হবে।

এছাড়া ৩য় পর্যায়ের আবেদনের সময়সীমা ২৪ জুন,পছন্দক্রম অনুযায়ী ২য় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ হবে ২৫ জুন।

৩য় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর Selection নিশ্চয়ন ২৬ জুন পর্যন্ত।শিক্ষার্থী নিশ্চিত না করলে ৩য় পর্যায়ের Selection এবং আবেদন বাতিল হবে।

ভর্তির সময়সীমা ২৭ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত।ক্লাশ শুরুর তারিখঃ ০১ জুলাই ২০১৮

নিবন্ধন ফিঃ
মনোনীতদের তালিকা প্রকাশের পর শিক্ষার্থী ১৮৫ টাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়ে নিবন্ধন করবেন, আগে কলেজ বোর্ডকে এ টাকা দিলেও এখন শিক্ষার্থীরা নিজেরাই বোর্ডকে টাকা জমা দেবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)