শ্যামনগরে ১১ জন শিক্ষক অধিকার ফিরে পেলেও ৯ জন শিক্ষক বঞ্চিত

শ্যামনগরে মহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন মামলা চলমান প্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রীটের আওতাধীন বিদ্যালয় সমূহে চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকগণ যোগদান থেকে বিরত থেকে পূর্ববর্তী বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতে রীট পিটিশন মামলায় ১১ জন শিক্ষক তাদের অধিকার ফিরে পেলেও ৯ জন শিক্ষক তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। শ্যামনগরে বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালনকৃত প্রধান শিক্ষকদের পক্ষ থেকে মহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। অধিকার বঞ্চিত শিক্ষকরা হলেন- রীট পিটিশিন নং ৭৬২২/১৭ আওতায় প্রধান শিক্ষক ১৮৫ নং সোয়ালিয়া সাপেরদুনে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইসমাইল হোসেন সিরাজী, ১৮৪ নং বাদুড়িয়া মোল্যাপাড়া সপ্রাবিঃ রবিউল ইসলাম, ১৮৭ নং আস্তাখালী সপ্রাবিঃ আব্দুল কাদের, রীট পিটিশন নং ১৬৬৭১/১৭ আওতায় ১৮৬ নং দক্ষিণ কুলতলী সপ্রাবিঃ আব্দুর রাজ্জাক, ১৮৩ নং সিংহড়তলী সপ্রাবিঃ নেছার আলী, রীট পিটিশন নং ৬৫৬১/১৭ আওতায় ১৮১ নং চন্ডিপুর এমএন সপ্রাবিঃ ইয়াছিনুর ইসলাম, ১৮৯ নং গুচ্ছগ্রাম কেদারবাজার সপ্রাবিঃ সিরাজুল ইসলাম, ১০০ নং নাপিতখালী কমিউনিটি সপ্রাবিঃ নুরুন্নাহার, ১৮২ নং চাঁদনীমুখা পূর্বপাড়া সপ্রাবিঃ গোলাম বারী। রীট পিটিশন নং ১৪৩৪৪/১৭ এর আওতায় ১১ জন শিক্ষক। এ সকল শিক্ষকগণ প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভ করে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণ হওয়ায় উক্ত প্রধান শিক্ষকগণ স্ব-পদে দায়িত্ব পালন করা স্বত্বেও তারা সহকারী শিক্ষক হিসেবে বেতন ভাতাদী পেয়ে আসছেন। প্রধান শিক্ষক পদমর্যাদায় বেতন ভাতাদি স্কেলে প্রাপ্তির দাবীতে বিজ্ঞ আদালতে রীট পিটিশন দায়ের করা হয়। বিজ্ঞ আদালতে আদেশ উপেক্ষা করে সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রুহুল আমীন ও শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল বাশার উক্ত রীট পিটিশন জ্ঞাত হওয়া স্বত্বেও শ্যামনগরের ৪৯ জন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্ব নিয়োগ করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ হস্তক্ষেপ কামনা করা হলে জরুরী ভিত্তিতে সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার ও শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষরিত রিট পিটিশন নং-১৪৩৪৪/২০১৭ এর প্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উক্ত রীটের আওতাধীন বিদ্যালয়ের চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকগণ যোগদান করা থেকে বিরত থেকে পূর্ববর্তী বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ১১ জন শিক্ষক তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেল। পিটিশন নং ৭৬২২/১৭, ১৬৬৭১/১৭, ৬৫৬১/১৭ রীট ধারী ৯ জন তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ায় জেলা ও শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিজ্ঞ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করেছেন। এ ব্যাপারে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানান, তারা দ্রুত তাদের চলতি দায়িত্ব প্রধান শিক্ষকদের নিয়োগ আদেশ প্রত্যাহার করে রীট পিটিশনের আদেশ বহাল করতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)