শ্যামনগরে অপহরণের ১৪ ঘন্টা পর ফিরে এসেছে ছাত্র আবু রায়হান

শ্যামনগর প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরা শ্যামনগরে অপহরণ হওয়ার ১৪ ঘন্টা পর ফিরে এসেছে অনার্স পড়ুয়া আবু রায়হান নামের এক ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে।

শ্যামনগর থানার অভিযোগ ও অপহৃত অনার্স ছাত্রের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা সিটি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবু রায়হান ছোটকাল থেকেই নানার বাড়ি উপজেলার গোবিন্দপুরে থাকে। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে আবু রায়হান মসজিদে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে নানার বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তায় দুজন অপরিচিত ব্যক্তি তাকে পিস্তল দেখিয়ে মোটর সাইকেলে উঠতে বাধ্য করে। এক পর্যায়ে আবু রায়হানের মাথায় হেলমেট পড়িয়ে অপহরনকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এদিকে রাতে রায়হানের খোঁজাখুঁজি শুরু হলে ঐ দিনই রাত ১০ টার দিকে তার নানা আলহাজ্ব মাস্টার সওকাত ঢালীর ব্যবহ্রত মুঠোফোনে অপরিচিত ০১৯৫৪০৩৯২০০ এই নং থেকে একটি কল আসে। এসময় অপরিচিত ঐ ব্যক্তি নিজেকে অপহরণকারী দাবি করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চায়।

আবু রায়হানের নানা আলহাজ্ব মাস্টার সওকাত ঢালী বলেন, এসময় তিনি মুক্তিপণ দিতে অস্বীকৃতি জানালে অপহরণকারী ব্যক্তি রায়হান কে হত্যার হুমকি দেয়।

এদিকে সকালে আরও একবার অপরিচিত ০১৬৩৫৫০১১১৪ এই নং থেকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে।

অপহৃত আবু রায়হান জানান, সারা রাত তাকে কোথায় নিয়ে গেছে বা কিভাবে রেখেছে তার কিছুই সে বুঝতে পারিনি। তবে সকাল হলে কালিগঞ্জ ব্রিজের পূর্ব দিকে নিকটবর্তী অদূরে তাকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। কিন্তু ৩ দিনের মধ্যে তাদের কাছে ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার শর্ত দেয় এবং যদি তাদের কথামত কাজ না হয় তবে পরিবারের যেকোন সদস্যকে একই ভাবে উঠিয়ে নিয়ে যাবে। আবু রায়হান আরও জানান, এসময় অপহরণকারিরা তাকে অনেক মারপিট করেছে।

আবু রায়হানের বাবা উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের বাদুরিয়া গ্রামের ইয়াকুব আলী বলেন, আমার ছেলেকে তার নানা বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়েছে এমন ঘটনা শুনার পরপরই আমি থানায় গিয়ে ঘটনা বলি এবং আমার ছেলে কে ফিরে পাওয়ার জন্য শ্যামনগর থানায় একটি জিডি করি। যার নং ১৪৭১, তাং ৩১/০৫/২০১৮।
আমি আমার ছেলে কে নিয়ে বড় দুশ্চিন্তায় আছি।

এদিকে সকালে আবু রায়হান বাড়ি ফিরে আসলে এলাকাবাসী আবু রায়হান কে দেখতে উপচে পড়ে।
রায়হানের নানা আরও জানান, সকালে রায়হান বাড়ি ফিরে আসলে আমরা তাকে থানায় নিয়ে যায় এবং জিডি প্রত্যাহার করে নেয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)