‘আমিও লোক মুখে শুনেছি’

ডেস্ক রিপোর্ট:

মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান নিজ এলাকায় এমপি নির্বাচন করবেন। আজ একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের এমন মন্তব্যের পর সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়ে যায় খবরটি। এ নিয়ে সৃষ্টি হয় আলোচনারও। তবে বিষয়টি ভুলভাবে প্রকাশ হয়েছে এমনটাই দাবি মন্ত্রীর। এ বিষয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল ব্যাখ্যা করেছেন।

তিনি বলেন, আমি দলের পক্ষ থেকে বা কোনো বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে কিছুই বলিনি। তারা নির্বাচন করবে কিনা আমি জানি না। মানুষের মুখে অনেক দিন থেকেই শুনে আসছি মাশরাফি নির্বাচন করবে। সে জন্যই মাশরাফির একজন ভক্ত হিসেবে আমি বলেছি, ও যদি নির্বাচন করে তাহলে সবাই যেন তাকে ভোট দেয়।

আওয়ামী লীগ থেকে মাশরাফির মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে পরিকল্পনা মন্ত্রীর পাল্টা প্রশ্ন, ‘আমি মনোনয়ন দেয়ার কে? আমি তো কেউ না।’

মাশরাফি নির্বাচন করবেন, এমন কোনো নিশ্চিত তথ্যও তার কাছে নেই, ‘মাশরাফি নির্বাচন করবে কিনা এ ব্যাপারে নিশ্চিত কোনো খবর আসলেই আমার কাছে নেই। আমিও আপনাদের মতোই লোকমুখে শুনেছি ও নির্বাচন করবে। মাশরাফির সঙ্গে আমার যোগাযোগই নেই। তার মতামত না নিয়ে আমি কীভাবে বলি মাশরাফি নির্বাচন করবে? এটা বলার আমি কেউ না।

আরো পড়ুন>এমপি নির্বাচন করবেন মাশরাফি-সাকিব: পরিকল্পনা মন্ত্রী

সেটাই যদি হবে, একনেকের সভার পর সংবাদ সম্মেলনে বলা মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে এই ধূম্রজাল কেন? এ ব্যাপারে মুস্তফা কামাল একটু বিস্তারিত ব্যাখ্যাই দিলেন, আজ আমরা মাগুরার জন্য একটি রেলওয়ে প্রজেক্ট পাশ করি। এটা ছিল শেষ প্রজেক্ট, ১৩ নম্বর। সব আলোচনা শেষে আমি উপস্থিত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার লোকজনদের দুষ্টুমি করে বলি, মাগুরার জন্য প্রজেক্ট পাশ হলো। মাগুরার লোকজন তো মিষ্টি খাওয়ানোর ভয়ে কেউ কিছু বলছেন না। তখন তারা বলেন, ‘মাশরাফি তো নির্বাচন করবে। সে খাওয়াবে।’ আমি তখন বলি, ‘মাশরাফি নড়াইলের। সে কেন খাওয়াবে! তবে আমিও শুনেছি মাশরাফি এবার নির্বাচন করবে। সে যদি নির্বাচন করে তাহলে আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা সবাই তাকে সমর্থন দেবেন, তার জন্য কাজ করবেন। কারণ সে ভালো মানুষ।’ এ সময় অনেকে সাকিবের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন করলে মন্ত্রী নাকি বলেছেন, ‘সাকিব যদি নির্বাচন করতে চায় সাকিবও নির্বাচন করবে। সে এখন পরিণত। নির্বাচন করতেই পারে। সেও ভালো মানুষ। নির্বাচন করলে তাকেও আপনারা সমর্থন দেবেন।’

তবে মুস্তফা কামাল ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, মাশরাফি-সাকিব কারওই এবার নির্বাচন করার সুযোগ নেই। কারণ দুজনই এখনো খেলার মধ্যে আছেন, ‘সাকিব, মাশরাফি দুজনই খেলার মাঠে আছে। মাশরাফি তো নিজেই বলেছে সে ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলতে চায়। যদি তাঁরা ক্রিকেট খেলে তাহলে নির্বাচন কীভাবে করবে? তারপরও তারা করতে চাইলে সেটা তাদের ব্যাপার।’

সত্যি সত্যি নির্বাচন করলে জাতীয় দলের এই দুই ক্রিকেটারের পক্ষে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী, আমি যখন প্রথম নির্বাচন করি আমার জন্য ভোট চাইতে গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ও আকরাম খান আমার এলাকায় গিয়েছিল। সেভাবে আমিও ওদের জন্য ভোট চাইব।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)