কালিগঞ্জে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে অপদ্রব্য পুষ করছে চিংড়িতে: প্রশাসন নীরব
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি :
কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে ভাতের মাড়,সাবু সিদ্ধ, ফিটকিরির পানি সহ বিভিন্ন প্রকার অপদ্রব্য পুষ করছে বাগদা চিংড়িতে প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। বাংলাদেশের সিংহ ভাগ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হয় বাগদা চিংড়ি রপ্তানি করে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক দেশ বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ থেকে বাগদা চিংড়ি আমদানি। আমাদের দেশের শতকরা ৮০ ভাগ বাগদা চিংড়ি উৎপাদন হয় সাতক্ষীরা জেলায়। অসাধু ব্যবসায়ী,ডিপোমালিকদের বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুষ করার ফলে বিশ্ব বাজারে আমাদের দেশের বাগদার মান হ্রাস পেতে বসেছে। যার ফলে যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় বাগদা চিংড়ি চাষিরা অনীহা প্রকাশ করছে। সরেজমিনে যেয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্দকাটি গ্রাম সহ কয়েকটি বাগদা ব্যবসায়ীদের বাড়ীতে গেলে ধরা পড়ে বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুষ করার দৃশ্য। এই অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত বন্দকাটি গ্রামের ইমান আলী মোড়লের ছেলে আক্তার আলী ও তার সহোদর মোক্তার আলী, গফ্ফার গাজীর ছেলে রাজু,কপিল গাজীর ছেলে মফিজুল,মান্নান গাজীর ছেলে মাছুম,আশরাফ মোড়লের ছেলে আলমগীর,বাঁশতলা বাজারের জহুর গাজী, নৌবাজপুর গ্রামের জয়নাল গাজীর ছেলে রবিউল,আব্দুর ছত্তার গাজীর ছেলে মোক্তার,একই এলাকার আয়তুল্ল্যাহ,মোবারক। দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের মৃত মোকছেদ গাজীর ছেলে মুনসুর,মনো মোড়লের ছেলে আনছার,আব্দুর রহিম,আহার গাজীর ছেলে রফি,আমিরুল,মুছা গাজী,সাঈদ গাজী,রবিউল এই সকল অসাধু ব্যবসায়ীরা স্থানীয় বাজার সহ বিভিন্ন এজেন্টদের নিকট পুষকৃত বাগদা চিংড়ি বিক্রয় করেন। এই অপদ্রব্য পুষ করার ফলে বাগদা চিংড়ি ভিতরে পোঁকা ধরে যায়। যার ফলে বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ির চাহিদা বিশ্ব বাজারে হ্রাস পেতে বসেছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের নিকট পুষ করার কারণ জানতে চাইলে বলেন অধিক মুনাফার জন্য তারা অপদ্রব্য পুষ করেন। তারা আরও বলেন মাছের ডিপো মালিকরা যদি পুষ মাছ নেওয়া বন্ধ করেন তাহলে বাগদা চিংড়িতে পুষ করা বন্ধ করতে সব ব্যবসায়ীরা বাধ্য হবে। তাছাড়া থানা সহ বিভিন্ন দপ্তরে টাকা দিয়ে তাদের বাগদা পুষের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হয় বলে জানান।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান বাগদা অপদ্রব্য পুষ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে যারাই এই কাজের সাথে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশের সুনাম ক্ষুন্নকারি অসাধু বাগদা চিংড়ি পুষকারী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা গ্রহণের জন্য জোর দাবী জানিয়েছে মৎস্য চাষি সহ এলাকার সচেতন মহল।