আবাদের হাটে ফিল্মি স্টাইলে ব্যবসায়ীর দোকানঘর ভাংচুর
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা সদরের আবাদের হাটে ফিল্মি স্টাইলে এক ব্যবসায়ীর দোকানঘর ভাংচুর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই ব্যবসায়ীর প্রায় ১ লাখ টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ব্যবসায়ীর নাম মিজানুুর রহমান(২৮)। সে সদরের বাঁশঘাটা গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে।
ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, আবাদেরহাটে আমার একটি ইলেকট্রনিক্স এর দোকান আছে। সেই সুুবাদে আমি বাবুলিয়া পূুর্বপাড়া গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে শামছুর রহমানের কাছে ২ হাজার টাকা পায়। হালখাতায় টাকা পরিষদের কথা থাকলেও তিনি টাকা পরিষোধ করেননি। বৃহস্পতিবার আবাদের হাটে তার সাথে দেখা হলে আমি একটু রেগে যেয়ে তার কাছে টাকা চায়। এরপর সে টাকা দিতে পারবেনা, পারলে আদায় করে নিস বলে আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে। এরপর সে বলে বাজারের মধ্যে তুই আমার কাছে টাকা চেয়েছিস তোকে আমি দেখে নেবো বলে আস্ফালন করতে করতে চলে যায়।
এর পর ওই দিন সন্ধার পরপরই শামছুর, হাসান, আনার হোসেন,শহিদ, শাহিন, কানাই, আলাউদ্দীনসহ ২০/২২ জন আমার দোকানে এসে ভাংচুর শুরু করে। আমি বাঁধা দিলে তারা আমােেক এলোপাতাড়িভেেব মারপিট করতে থাকে। পরে বাজারের লোকজন ছুটে আসলে তারা আমাকে আহতবস্থায় রেখে চলে যায়।
শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নবকুমার বলেন, সন্ধার পর ২০/২৫ জনের একটি দল হঠাৎ এসে মিজানুুরের দোকান ভাংচুর শুরু করে। আমরা যেয়ে থ্যাকানোর আগেই তারা দোকানের অনেক জিনিসপত্র ভেঙে ফেলে। এছাড়া তারা মিজানুরকে অনেক মারপিট করেছ্।
এ ব্যাপারে শামছুুর রহমান বলেন, আমাকে বাজারে ফেলে ওরা আমাকে মারপিট করে। এরপর আমি বাবুলিয়া এসে লোকজনদেরকে জানালে তারা দল বেঁধে আবাদের হাটে যায়। এরপর তারা সেখােেন যেয়ে কি করেছে তা ্আমি জানিনা।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্র্মকর্র্তা মারুফ আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে একটি এজাহার পেয়েছি। তদন্ত করে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনানুুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।