ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী, মোদির সঙ্গে বৈঠক

ডেস্ক রিপোর্ট:

দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ ভারতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সকালে কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।

শুক্রবার সকাল পৌনে নয়টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি।

ভিভিআইপি একটি ফ্লাইটে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর হেলিকপ্টার যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি বিশ্বভারতীর উদ্দেশ্যে রওনা হবেন ।

সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করবেন তিনি। তারপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর রাত আটটায় পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নিবেন তিনি।

পরদিন শনিবার সকাল ১১টায় পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত সম্মানসূচক ডিলিট উপাধি গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একই দিন বিকেলে নেতাজী জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সংসদ সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

শনিবার রাতেই দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন শেখ হাসিনা। রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী প্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী মোদির আনুষ্ঠানিক আলোচনায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্ত তার সঙ্গে ঠিক কি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে তা জানা যায়নি। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীও খোলাসা করে কিছু বলেন নি। তিনি বলেছেন, সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতা ব্যানার্জির দেখা হবে।

প্রধা

নমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডিলিট উপাধি প্রদান অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মমতা ব্যানার্জি। সমাবর্তনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বক্তৃতা দেবেন। শনিবার সন্ধ্যায় মমতার সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফর করেন। তার আমলে দুই দেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় সম্পন্ন হলেও তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সই হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণে চুক্তি সই হতে পারেনি।

২০১৭ সালে ফিরতি সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত যান। ওই সময়েও তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সই হবে বলে আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

এরপর ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ায় ব্রিকস বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনেও দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হয়।

এরপর সর্বশেষ চলতি বছরের এপ্রিলে লন্ডনে ২৫তম কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনের (সিএইচওজিএম) সাইডলাইনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)