মা-মেয়ের এক স্বামী!

ডেস্ক রিপোর্ট:

আমি অন্তঃসত্ত্বা। চার মাস আগে নূর ইসলাম আদালতে নিয়ে আমাকে বিয়ে করেছে। এরও বছরখানেক আগে আমার মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে নূর ইসলামের। কিন্তু মেয়ের কোনো সন্তানাদি নেই বিধায় সে আমাকে বিয়ে করেছে।

এভাবেই মেয়ের স্বামীকে আপন স্বামী হিসেবে বরণ করে নেয়ার বর্ণনা দিচ্ছিলেন ঝর্ণা বেগম। ফরিদপুরের এক প্রবাসীর স্ত্রী ঝর্ণা সম্প্রতি নিজের মেয়ের জামাইকে বিয়ে করেছেন। ফলে এখন মা-মেয়ের এক স্বামী নূর ইসলাম।

জানা গেছে, ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের চণ্ডিপুর গ্রামের নূর ইসলাম ভালোবেসে বিয়ে করেন ঝর্ণার মেয়েকে। কিন্তু বিয়ের চার মাস পর শাশুড়িকেও বিয়ে করেন তিনি। পেশায় রাজমিস্ত্রি ওই যুবক মোহাম্মদ দফাদারের ছেলে। আর তার শ্বশুর মালদ্বীপ প্রবাসী। মা ও মেয়েকে বিয়ে করায় বিষয়টি এখন ‘টক অফ দ্যা ফরিদপুরে’ পরিণত হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে নূর ইসলাম ও শাশুড়ি ঝর্ণা বেগমকে নিয়ে চণ্ডিপুর গ্রামের লোকজন নানা কথা বলতে থাকে। গ্রামবাসী তাদের আটক করে উপযুক্ত বিচারের জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের জিম্মায় দেন। তবে অনেকেই মনে করছেন, বিদেশে থেকে পাঠানো শ্বশুরের টাকা ও বাড়ির সম্পত্তির লোভেই নূর ইসলাম তার শাশুড়িকে বিয়ে করেছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাচ্চর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. কাউসার বলেন, রোজার প্রথম তারাবিহ নামাজের কারণে চৌকিদার মক্কাছের জিম্মায় ওদের রেখে এসেছি। কিন্তু পরে জানতে পারলাম সেখান থেকে দুজনই পালিয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, সাড়ে তিন বছর আগে চণ্ডিপুর গ্রামের জলিল মোল্যা মালদ্বীপ যান। এরপর তিনি সব টাকা তার স্ত্রীর কাছেই পাঠাতেন। এক বছর আগে চণ্ডিপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে জলিল মোল্যার বাড়িতে নূর ইসলাম রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যান। ওই ফাঁকে বাড়ির মেয়ে জেনির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তারা বিয়ে করেন।

সেই বিয়ের পরপরই শাশুড়ি ঝর্ণা বেগমের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন নূর ইসলাম। এরপর আদালতের মাধ্যমে তাকেও বিয়ে করেন নূর ইসলাম।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)