প্রধানমন্ত্রী এঁকেছেন ‘মুক্তিযোদ্ধা’ চিত্রকর্ম

ডেস্ক রিপোর্ট :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আঁকা একটি চিত্রকর্ম তাঁকেই উপহার দেওয়া হবে। চিত্রকর্মটির ক্যানভাস এখন শিল্পকলা একাডেমিতে রয়েছে। প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমদের চিত্রকর্ম উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই চিত্রকর্ম শিল্পীর সঙ্গে যৌথভাবে আঁকেন।

চিত্রকর্মটির ক্যানভাসে শিল্পীর নাম লেখা রয়েছে ‘শেখ হাসিনা’। চিত্রটি আঁকা শেষ হলে ক্যানভাসের ডান পাশে প্রধানমন্ত্রী নিজেই তাঁর নামটি লিখেন। স্বাক্ষরের নিচে তারিখও লেখা রয়েছে (১৯-৩-১৮) ।

শিল্পকলা একাডেমির ফাইন আর্টস বিভাগের পরিচালক শিল্পী আশরাফুল আলম পপলু বাসসকে এই তথ্য জানান। তিনি জানান, গত ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রবাসী শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের চিত্রকর্ম প্রদর্শনী উদ্বোধন করতে আসেন। আর এ প্রদর্শনী উদ্বোধন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হাতে একটি তুলি দেওয়া হয়। তাঁর সামনে তখন একটি সাদা জমিনের ক্যানভাস। প্রধানমন্ত্রী তুলি হাতে নিয়েই রেখাচিত্র আঁকা শুরু করেন। উপস্থিত সবাই বড় উৎসুক হয়ে প্রধানমন্ত্রীর তুলির টান লক্ষ করছিলেন। বেশ কিছু রেখা টানলেন ক্যানভাসে প্রধানমন্ত্রী। তারপর একটি রেখাচিত্রের আকৃতি সৃষ্টি হয়। পাশে দাঁড়ানো শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ আরেকটি তুলি দিয়ে ক্যানভাসে কয়েকটি রেখা টানেন। তারপর প্রধানমন্ত্রী আবারও কয়েকটি রেখা আঁকেন। ছবিতে বিমূর্তভাবে সৃষ্টি হয়েছে একজন মুক্তিযোদ্ধা। পরে তিনি নিজের নাম ও তারিখ লেখেন ক্যানভাসের ডান পাশে।

‘চিত্রকর্মটি প্রতীকধর্মী। দুরন্ত বেগে একজন মুক্তিযোদ্ধা ছুটছেন। সবলদেহী যুবক। তাঁর কাঁধে অস্ত্রশস্ত্র। মাথা সামনে বাড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন যোদ্ধাটি। তাঁর দুপা পেছনের দিকে বাঁকা হয়ে শরীরকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। শক্তি আর সাহসী যোদ্ধার দুর্বার গতিতে বয়ে চলা চিত্রটির মূল থিম। প্রধানমন্ত্রী প্রকৃতপক্ষে একজন মুক্তিযোদ্ধাকেই এঁকেছেন’ চিত্রকর্মটি সম্পর্কে এ মূল্যায়ন করেন আশরাফুল আলম পপলু।

শিল্পী আশরাফুল আলম পপলু এই চিত্রকর্ম সম্পর্কে আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই মূলত ছবিটি আঁকেন। শিল্পী শাহাবুদ্দিন তুলিতে কয়েকটি রেখা টানেন। এ কারণে ছবিটি যৌথ নির্মাণই বলছি আমরা। ছবিটির শিরোনাম হতে পারে ‘এগিয়ে চলা’। কিন্তু তিনি চিত্রকর্মটির কোনো শিরোনাম দেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তারই প্রতীক হিসেবে একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতি এঁকে তা বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। চিত্রকর্মটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

চিত্রকর্মের ক্যানভাসটির দৈর্ঘ্য ৪২ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ৩৬ ইঞ্চি। ক্যানভাসের সাদা ভূমির ওপর ছবিটি আঁকা হয়। মোটা তুলিতে আঁকা। ব্যবহার করা হয়েছে লাল ও কালো রং। মোট ৭২টি রেখা রয়েছে চিত্রটিতে। কালো রঙের রেখাই বেশি। চিত্রকর্মটি বর্তমানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ফাইন আর্টস বিভাগে সংরক্ষিত রয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)