হাজীপুর স্কুলের শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে
মানিক চন্দ্র বাছাড় :
আশাশুনি উপজেলার ১নং শোভনালী ইউনিয়নে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল করছেন ২নং হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ১৩৫জন ছাত্র/ছাত্রী নিয়ে হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জরাজীর্ণ ছোট্ট একটি টিনের ছাওনির ঘরে লেখাপড়া করছে শিক্ষার্থীরা।ছোট্ট একটি টিন ছাওনি তার ভিতরে বসার জায়গা পর্যন্ত নেই। তার উপর কাল বৈশাখীর ঝড়ে ঘরটি যে কোন সময় উড়ে যাওয়ার আতঙ্কে দিন যাপন করছে স্কুলের কোমলমতি ছোট ছোট শিশুরা।স্কুলটি ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করলে ও ২০১৩ সালে স্কুলটি ড্যামেজ ঘোষণা করেন।এর পর শিক্ষা অফিসে বার বার বলার সত্বেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।এর মধ্যে গত ১৬ই মে বুধবার বেলা ২টার সময় প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলের মধ্যে ভয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে ও আড়ষ্ট হয়ে যায়।পরে শিক্ষকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলের সকল ছাত্র/ছাত্রীদের নিয়ে পাশের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়।
ছাত্র/ছাত্রীদের কাছে জানতে চাইলে বলেন ,ঝড় উঠলেই আমরা আতঙ্কে থাকি,কখন যে টিন সেডটি উড়ে যাবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই।বৃষ্টি হলেই বই খাতা হাতে নিয়ে দাড়িয়ে থাকতে হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক রথীন কুমার দাশ বলেন, স্কুলের ছেলে মেয়েরা ভয়ে আতঙ্কে স্কুলেই আসতে চাইছেনা,সে জন্য স্কুলের ভবনটি খুবই প্রয়োজন।
এস.এম.সি কমিটির সভাপতি সালাউদ্দীন বকুল বলেন, আমরা কয়েক বার শিক্ষা অফিসারের সরনাপণ্য হয়েছি কিন্তু কোন নতুন ভবন আজও পর্যন্ত আমরা পাই নাই।স্কুলের অভিভাবক ও এলাকাবাসীর উদ্ধর্তন কর্মকর্তার কাছে একান্ত দাবী যাহাতে এখানে একটি নতুন ভবন প্রতিষ্ঠিত হয়।