হবিগঞ্জে শিশু ধর্ষণ: ২০ হাজার টাকায় রফাদফার চেষ্টা
ডেস্ক রিপোর্ট:
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ২০ হাজার টাকায় রফাদফার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুনারুঘাট পৌর এলাকার নতুন বাজার (পীরের বাজার) আশ্রায়ন কেন্দ্রে থাকে হাজী ইয়াছির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী ও তার পরিবার। পিতা মাতা দরিদ্র হওয়ায় মেয়েকে বাসস্থানে রেখে তারা গত ২ মে হাওর এলাকায় চলে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে একই এলাকার শিরু মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল মিয়া ওইদিন রাতে মেয়ের ঘরে প্রবেশ করে এবং তাকে কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয়। পরে কিছুক্ষণের মধ্যে মেয়েটি ঘুমিয়ে পড়লে উজ্জ্বল মিয়া ধর্ষণ করে। এভাবে পরপর দুইদিন ধর্ষণের কারণে রক্তকরণ হওয়ায় মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মা-বাবাও চুনারুঘাট পৌর এলাকায় চলে আসেন। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় কাউন্সিলর কাজল মিয়া সালিশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকায় রফাদফা করেন। কিন্তু মেয়েটির চিকিৎসা না হওয়ায় সে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির সংগঠক অন্নিকা দাশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য সেখানে যান। এবং পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন। পরে পুলিশ তাকে গিয়ে ওই এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
অন্নিকা দাশ জানান, ব্র্যাকের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ওই এলাকায় গেলে বিষয়টি তাদের গোচরে আসে। মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। কারণ উজ্জ্বল মিয়া একজন বখাটে প্রকৃতির লোক।
চুনারুঘাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার কাজল মিয়া জানান, মেয়ের পরিবার দরিদ্র। মামলা দিয়ে তাদের কোনো লাভ হবে না। তাই মেয়েটির চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ওসি আজমিরুজ্জামান জানান, পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে মেডিকেল করানোর জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার রাতে শিশুর পিতা বাদী হয়ে উজ্জলকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বখাটেকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।