বুলবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট:
মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক গতকাল বুধবার রাতে জানান, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্ট প্রধানমন্ত্রী নজরে আসে এবং এর পরই প্রধানমন্ত্রী বুলবুলে খোঁজখবর নিয়ে তার চিকিৎসাসেবা ও যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের হার্টে আটটি ব্লক ধরা পড়েছে। রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন গুণী এ মানুষ। মঙ্গলবার রাতে তিনি ফেসবুকে লেখেন, আমি এখন ২৪ ঘন্টা পুলিশি প্রহরায় গৃহবন্দী থাকি, একমাত্র সন্তানকে নিয়ে।
আরো পড়ুন: গুরুতর ‘অসুস্থ’ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল
সম্প্রতি তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, সরকারের নির্দেশেই ২০১২-তে আমাকে যুদ্ধাপরাধীর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় সাক্ষী হিসেবে দাঁড়াতে হয়েছিল।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের স্ট্যাটাসটি নীচে দেয়া হলো:
তিনি আরো লিখেন, ১৯৭১-এ ঘটে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলখানার গণহত্যার সম্পূর্ণ ইতিহাস অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে হয়েছিল। আর, ওই গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া ৫ জনের মধ্যে আমিও একজন। হত্যা করা হয়েছিল একসঙ্গে ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে।
কিন্তু, এই সাক্ষীর কারণে আমার নিরপরাধী ছোটভাই মিরাজ খুন হয়ে যাবে তা কখনোই বিশ্বাস করতে পারিনি। সরকারের কাছে বিচারও চেয়েছি, পাইনি। আমি এখন ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পাহারায় গৃহবন্দি থাকি, একমাত্র সন্তানকে নিয়ে আমার পথচলা। এ এক অভূতপূর্ব করুণ অধ্যায়।
একটি ঘরে ৬ বছর গৃহবন্দি থাকতে থাকতে আমি আজ অসুস্থ। আমার হার্টে ৮টা ব্লক ধরা পড়েছে। বাইপাস সার্জারি ছাড়া চিকিৎসা সম্ভব না।
তিনি আরো লিখেন, এরই মাঝে কাউকে না জানিয়ে আমি ইব্রাহিম কার্ডিয়াক এ সিসিইউতে চারদিন ভর্তি ছিলাম। প্রিয় বন্ধুরা, আগামী ১০ দিনের মধ্যে আমার হার্টের বাইপাস সার্জারি করাতে প্রস্তুত রয়েছি। কোনো সরকারী সাহায্য বা শিল্পী, বন্ধুবান্ধবের সাহায্য আমার দরকার নেই, আমি একাই যথেষ্ট।
এদিকে, অসংখ্য জনপ্রিয় গানের এই সুরকার সবার দোয়া চেয়েছেন।