পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানের পরও নিয়ম ভাঙ্গতে বেপরোয়া ভাটা মালিকগণ

আশাশুনি প্রতিনিধি :

আশাশুনি উপজেলার বড়দলে ইট ভাটায় সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে চলছে কাঠ পোড়ানোর মহোৎসব। এব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনের বারবরার অভিযান স্বত্তেও ভাটা মালিকরা নিয়ম ভাঙ্গতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

উপজেলার বড়দল বাজারের দক্ষিণ দিকে কপোতাক্ষ নদীর তীরে মেইন রাস্তার ধারে একেএস ও এএসএস ব্রিকস নামে দু’টি ইট ভাটা আছে। ভাটা মালিকরা কাঠ পুড়িয়ে যাচ্ছে। একেএস ব্রিকস মালিক পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী গ্রামের মৃত সুলতান সরদারের পুত্র নজরুল ইসলাম। এএসএস ব্রিকস মালিক উপজেলার বড়দলের মাষ্টার রবিউল ইসলাম। ভাটায় ফিট চিমনি নেই, টিনের ব্যারেলের চিমনি ব্যবহার করে ইট পুড়িয়ে যাচ্ছেন। ভাটায় কয়লার কোন অস্তিত্ব দেখা যায়নি। ইট পোড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে হাজার হাজার মন কাঠ। পাশেই নজরুলের ভাটায় হাওয়া ভাটা বলা হলেও পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। যার ফলে সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব আর ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্রসহ পরিবেশ। ইতিমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের থেকে অভিযান পরিচালনা কওে জরিমানা করলেও তারা আমারও দ্বিগুন কাঠ মজুত রেখে তাদের কাজ বহমান রেখেছে।

মালিক নজরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কাঠ পোড়ানোর জন্য আমি মাসোয়ারা প্রদান করি। প্রতিনিয়তই প্রশাসনের কর্মকর্তারা আসা যাওয়া করে যাচ্ছে। আপনারা কেন সময় নষ্ট করছেন আমাদের। প্রশাসনের কাদের মাসোয়ারা দেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান এলেকার কেহ আসেনা আসে খুলনা থেকে অত কইতে পারবনা। দুই ভাটার মধ্যে অবস্থিত সোয়ামিল সেখান থেকে কাট কেটে খ›ড খন্ড করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভাটায়। কপোতাক্ষ নদীর দু’ধারে ভাটায় কয়লা না রেখে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পরিবেশবান্ধব ভাটা তৈরি না করেও সেখানে পোড়ানো হচ্ছে হাজার হাজার মন ফলজ ও বনজ কাঠ, টায়ারের গুড়া ব্যবহার করা হচ্ছে। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যে কারণে ভাটা সংলগ্ন ৩ কিলোমিটারের মধ্যে অসংখ্য ঘরবাড়ি থাকলেও সেখানে ভাটা হওয়ায় এলাকাবাসী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কাঠ পোড়ানোর ফলে ভাটার চিমনির কালো ধোয়া থেকে বের হচ্ছে মাত্রারিক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড। যার ফলে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ায় পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে। এর প্রভাবে একদিকে যেমন কৃষির ক্ষতিসাধন হচ্ছে অপরদিকে মানবদেহে সৃষ্টি হচ্ছে জটিল ও কঠিন রোগ। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীন এর সাথে সাংবাদকিদের পক্ষ থেকে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি আমি দেখব।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)