কালিগঞ্জ থানার ওসি সুবীর দত্তের বেপোরোয়া চাঁদাবাজি থামছেই না!

ডি এস ডেস্ক:
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানা এলাকায় বি এন পি কিংবা জামাত শিবির নয়, পুলিশ আতংকে বাড়িছাড়া হয়েছেন একালাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে দিন মুজুরও। চাহিদা মত চাঁদার টাকা না দিতে পেরে দীর্ঘদিন বাড়িছাড়া রয়েছের অনেকে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আ’লীগের সভাপতিসহ একাধিক ব্যাক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিতর্কীত দুই উপ-পরিদর্শক ক্লোজড হলেও অজ্ঞাত শক্তির জোরে বহাল তবিয়তে রয়েছে অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা আর চাঁদাবাজ অফিসার ইনচার্জ সুবীর দত্ত। যার কারণে উপজেলা এলাকায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্দ।
বিষয়টি আমলে নিয়ে যথাযথ তদন্ত পুর্বক বিতর্কিত ওসি সুবীর দত্ত সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি উঠেছে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে।
কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামানের স্বাক্ষরিত স্বরাস্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও ডিআইজি বরাবর দায়ের করা অভিযোগে জানাগেছে, থানা অফিসার ইনচার্জ কালিগঞ্জ থানায় (১১/১১/২০১৭) যোগদানের পর থেকে এলাকার নিরীহ মানুষদের তুলে নিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া, মাদক ব্যবসায়ীর প্রাধান্য দেওয়া, সন্ত্রাসীদের পরিবর্তে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের ধরে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো ও জনগনের প্রয়োজনে কাজে না আসা সহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন।
জানাগেছে, ওসির অবৈধ ও অনৈতিক কাজে সহযোগীতায় সরব রয়েছে থানার উপ-পরিদর্শক লিয়াকত, উপ-পরিদর্শক প্রকাশ চন্দ্র, উপ-পরিদর্শক মামুন, উপ-পরিদর্শক ইস্রাফিল, উপ-পরিদর্শক ফনি ভূষন সরকার এবং এএসআই জাফর, এএসআই রুবেল সম্মিলিত ভাবে থানা এলাকার প্রায় তিন শতাধিক ধনি ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ওসির বাসায় রেখে চাপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করেছে।
এমনিভাবে কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক এস.এম নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি। ইউপি সদস্য ডালিম স্বরাস্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও ডি আই জি সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। যার প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে ওসির বিরুদ্ধে একাধিক তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। একপর্যায়ে পুলিশের কর্তা ব্যক্তিদের নির্দেশে থানার উপ পরিদর্শক প্রকাশ ও ইস্রাফিল কে মঙ্গলবার ক্লোজড করা হয়েছে। কিন্তু বিতর্কিত ওসি সুবীর দত্ত সহ জড়িতদের অপসারণের দাবি অব্যাহত রয়েছে। প্রয়োজনে ওসি সহ বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে অতি সত্তর ব্যবস্থা না নিলে থানা ঘেরাও, মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন করা সহ বিভিন্ন কর্মসুচীর ঘোষণা দিবেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
এসব অভিযোগের বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না।
অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা সুবীর দত্ত বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামানের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতা নেই। তবে তিনি উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমার পিছনে কুৎসা রাটাচ্ছেন।
সূত্র: ভোরের পাতা, ২৩ এপ্রিল ২০১৮
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)