কোটা আন্দোলনে গুজব রটানো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট শনাক্ত

ডেস্ক রিপোর্টঃ
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে অজ্ঞাত সংখ্যক লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ফেসবুকের ২০০ টির মতো অ্যাকাউন্টকে সন্দেহ করা হলেও তদন্তের পর এখন এই সংখ্যা ৩০টিতে নেমে এসেছে।
মৃত্যু ও রগ কাটার মতো মিথ্যা তথ্য প্রচার করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে যারা সহিংস করে তুলেছিলেন তাদেরকে খুঁজে বের করার কাজ করছে পুলিশ।
পুলিশের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এই অ্যাকাউন্টগুলো পর্যালোচনা করে তারা এখন উসকানিমূলক তথ্য প্রচারকারী ও গুজব রটনাকারীদের খুঁজে বের করবেন। এসবের মধ্যে রয়েছে ফেসবুক পেইজ, ফেসবুকে ও টুইটারে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট এবং কিছু অনলাইন পোর্টাল।
সাইবার ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাজমুল ইসলাম বলেন, সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে আন্দোলনের ডাক দেয়া একটি গণতান্ত্রিক বিষয়। কিন্তু কিছু লোক যখন মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে ফেসবুকের অপব্যবহার করে সহিংসতায় প্ররোচনা দেয় তখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব কনটেন্ট শেয়ার হচ্ছে, আপলোড করা হচ্ছে কিম্বা সেখানে যেসব মন্তব্য করা হচ্ছে সেগুলোর উপর নজর রাখার জন্যে এই ইউনিটের রয়েছে বিশেষ একটি বিভাগ।
এই বিভাগের কর্মকর্তারা এরকম দুটো ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, পুলিশের গুলিতে আবু বকর নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যু এবং আন্দোলনের বিরোধিতা করায় এক ছাত্রীর পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়েছে এরকম মিথ্যা খবর রটিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে সহিংস করে তোলা হয়েছিল।
আবু বকরের মৃত্যু হয়েছে বলে ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হয়েছে কিন্তু এই খবরের কোন সত্যতা নেই। তিনি শুধু তার চোখের কোণে সামান্য আঘাত পেয়েছেন। এছাড়াও আন্দোলনের বিরুদ্ধে কথা বলায় একজন ছাত্রীর পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়েছে বলে একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয়। কিন্তু এই খবরেরও কোন ভিত্তি নেই। যার পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়েছে বলে রটানো হয়েছে, সেই ছাত্রীই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছেন, রাগ উঠে যাওয়ায় তিনি লাথি মেরেছিলেন এবং তখন তার পা কেটে যায়।
এসব মিথ্যা খবর রটিয়ে যারা হিংসাত্মক কার্যকলাপে প্ররোচনা যুগিয়েছে তাদেরকে খুঁজে বের করার কাজ করছে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ঢাকার রমনা থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের পক্ষ থেকে মামলাটি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে কারও নাম ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি। এর সাথে বিভিন্ন ফেসবুক আইডির নাম এবং পোস্টও যুক্ত করা হয়েছে।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)