কালিগঞ্জে নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়ীয়া ইউনিয়নের মুড়াগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান শিক্ষক কতৃর্ক  ভোটার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ওই বিদ্যলয়ে গেলে স্থানীয় আব্দুল হামিদ গাজী,জাবেদ আলী গাজী,গোলাম মোস্তফা গাইন সহ আরো অনেকে অভিযোগ করে বলেন আগামী ১৯ এপ্রিল বিদ্যালয়ের অভিভাবক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে যার কারণে ভোটার তালিকায় বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম করেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পার্থ সারথী সেন। ওই ভোটার তালিকায় একই ব্যাক্তিকে দুই বার ভোটার করা হয়েছে এমনকি পীর গাজন গ্রামের অজেদ গাজীর মেয়ে ও কাটুনিয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী মরিয়ম খাতুন ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রী না হলেও তার অভিভাবককে ওই বিদ্যালয়ের ভোটার করা হয়েছে।
অভিযোগের সত্যতা যাচায়ের জন্য বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এস এম মোহাম্মদ আলী নিকট অভিভাবক ভোটার তালিকা দেখতে চাইলে তিনি বলেন আমি ভোটার তালিকা সম্পর্কে কিছুই জানিনা তবে প্রধান শিক্ষক সব বলতে পারবে। এসময় বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রাক্তন সভাপতি আশরাফ হোসেন সাংবাদিকদের নিকট একটি ভোটার তালিকা প্রদান করেন তাতে ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক ভোটার লিষ্টের ৩ নং ভোটার মহসিন কবীরের নাম থাকলেও পুনরায় ২১১ নম্বরে তার নাম দেখা যায়। এছাড়া লিষ্টের ০৬ নং জহুরুল ইসলামের ২৩৯ নম্বরে,৩৩ নং ভোটার আব্দুস সাত্তার সরদারের ২৫১ নম্বরে,১৪ নম্বর ভোটার স্বপন সরকারের ৭৮ নম্বর ভোটার তালিকায় তাদের প্রত্যকের দুইবার নাম উল্লেখ আছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এস এম মোহাম্মদ আলী বলেন প্রথমে আমি ও বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মনোরঞ্জন ভোটার তালিকা তৈরি করি সে সময় ভোটার সংখ্যা ছিলো ২২২ জন কিন্তু পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক , সহকারী শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন ও সাইফুল ইসলাম ভোটার তালিকা তৈরি করলে ২৬৫ জন ভোটার সংখ্যা দাড়ায় বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন অভিভাবক ভোটার তালিকায় ভুল ভ্রান্তির কিছু অভিযোগ উঠেছে এ বিষয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুনরায় তালিকা সংশোধন করবেন বলে তিনি জানান। মুড়াগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক ভোটার তালিকা সংশোধনের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)