১১ টি পরিবারকে অবরুদ্ধ করতে কলারোয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করার চেষ্টা!

কলারোয়া প্রতিনিধি:
কলারোয়া উপজেলার ৭নং চন্দনপুর ইউনিয়নের কাঁদপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় ৪০ বছরের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধের পায়তারা চলছে। রাস্তাটি বন্ধ হয়ে ওই এলাকার ১১টি আওয়ামীলীগ পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে।
বুধবার বিকালে সরেজমিনে ওই এলাকায় গেলে জানা যায়- ওই এলাকার বাসিন্দা আরব আলী দিন দশেক আগে বালি ভর্তি ট্রলি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় রাস্তার মাঝে আটকে দেয় প্রতিবেশি তৈয়ব আলী খোকন, তার ছেলে আছরিকুল ও আফছারের ছেলে কবিরুল। এ সময় আরব আলীর স্ত্রী তাজমীরা ও মেয়ে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী তানিয়া খাতুন ট্রলিটি আটকিয়ে দেয়ার প্রতিবাদ করলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদেরকে তৈয়ব ও আছরিকুল বেধারক মারপিট করে।
ওই ঘটনার পর কলারোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন আরব আলীর স্ত্রী তাজমীরা। অভিযোগের ভিত্তিতে কলারোয়া থানা পুলিশের এএসআই রফিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেসময় স্থানীয় ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান বীরু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক, ইউপি সদস্য শাহাদাৎ হোসেন, সাংবাদিক আতাউর রহমানসহ অনেকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এএসআই রফিক সবকিছু শোনা-বোঝার পরে স্থানীয়ভাবে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়ার জন্য আ.লীগ সভাপতি মাহাফুজুর রহমান বীরুকে দায়িত্ব দেন।
গত সোমবার সকাল ৮টার দিকে মাহাফুজুর রহমান বীরু মড়ল, খালেক হোসেন, শাহাদাৎ হোসেন, মজিদ সরদার, আতাউর রহমান, আবু তৈয়ব খোকন, তার স্ত্রী সাবি বেগম, আরব আলী, কবিরুল দপ্তারীসহ অারো কয়েকজনকে নিয়ে মিমাংসার জন্য ঘটনাস্থলে বসেন। সেসময় সিন্ধান্ত নেয়া হয় যে- পূর্ব পশ্চিম পরিধির ১৫০ ফুট রাস্তার পশ্চিম মাথায় খোকনের ৫০ ফুট, পশ্চিমে কবিরুলের ৩০ ফুট, আরব আলী, আমীরুল আর খোকন যৌথ ভাবে ৭০ ফুট, এই ১৫০ ফুট রাস্তার বেশী ভাগ খোকনের জমি থাকায় চলাচল রাস্তাটি সবার সুবিধার্থে বেশী জমি খোকনের থাকায় বর্তমান বাজার মূল্যে তাকে দাম দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। খোকন জমি বিক্রি করবে না বলে জানিয়ে দেন। মিমাংসার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা আরব আলীকে থানা থেকে অভিযোগ প্রত্যাহার করার প্রস্তাব দেন।
সেসময় চলাচলের রাস্তা নিয়ে যাতে আর কেউ বাধা সৃষ্টি না করে এই মর্মে আপষনামা করার অঙ্গীকার করে স্টাম্পের উপর স্বাক্ষর করিবে বলে বোর্ডকে জানান। কিন্তু ঘন্টা খানিক পর তৈয়ীব আলী খোকন বোর্ডের সকলের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জানিয়ে দেন যে- আমি স্টাম্পে স্বাক্ষর করবো না, আমি আইনের আশ্রয় নিবো।
ভূক্তভোগিরা জানান- কতিপয় ব্যক্তিরা দীর্ঘ কয়েক যুগের চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করার জন্য পায়তারা চালিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। সোমবার সন্ধ্যার দিকে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছেও যান রাস্তা বন্ধের পক্ষের ব্যক্তিরা। তবে মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে সকলকে মীমাংসার আহবান জানিয়ে বলেন, সমঝোতা হলে ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে সেখানে ইটের সোলিংএর রাস্তা তৈরি করে দেয়া হবে। এবং পূর্বের রাতে চেয়ারম্যানকে দেয়া কতিপয় ব্যক্তিদের নারকেল গাছে মারার বাবদ ৩ হাজার টাকা চেয়ারম্যান জনসম্মুখে ফিরেয়ে দেন।
তবে দীর্ঘদিনের ওই চলাচলের পথটি যাতে ঠিকঠাক থকে সেই বিষয়ে প্রশাসনের ঊর্দ্ধতন ব্যক্তিদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগি ১১টি আ.লীগ সমর্থিত পরিবার।

দৈনিক সাতক্ষীরা/জেড এইচ

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)