কলারোয়ায় গুলিবিদ্ধ সেই চোরাকারবারি নিহত
কলারোয়া প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার কলারোয়ার কেঁড়াগাছি সীমান্তে চোরাকারবারীদের লক্ষ্য করে বিজিবির ছোড়া গুলিতে আহত এক চোরাকারবারী মারা গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খুলনার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
নিহত নজরুল ইসলাম (৪২) উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের কাকডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুর রকিবের পুত্র। এলাকায় সে চিহ্নিত ও দূর্ধর্ষ চোরাকারবারী হিসেবে পরিচিত এবং দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বিভিন্ন চোরাচালানী ব্যবসা করে আসছিলো।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়- গত রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কেঁড়াগাছি সীমান্তের আমতলা ঘাট এলাকার এতিমখানার পিছনে একদল চোরাকারবারীদের ধাওয়া করে চোরাচালানী পণ্য আটক করে কাকডাঙ্গা বিওপির টহলরত বিজিবি সদস্যরা। সে সময় বিপুল সংখ্যক চোরাকারবারী চোরাচালানী পণ্য ছিনিয়ে নিতে বিজিবির উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। সেসময় বিজিবি আত্মরক্ষার্থে ১রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে।
প্রাথমিক ভাবে গুলিতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও পরে চোরাকারবারী দলের একাধিক সদস্য জানায়- সেসময় নজরুলের পেটে গুলি লাগে। অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে তাকে উদ্ধার করে খুলনার গাজী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে সে মারা যায়।
গুলিবর্ষণের ঘটনার পর থেকে নিহত নজরুলের পরিবার বিষয়টি গোপন রাখলেও মারা যাওয়ার পর বিষয়টি প্রকাশ করেছেন।
কাকডাঙ্গা বিওপির কোম্পানি কমান্ডার সামছুল হক এ বিষয়ে কোন কিছু বলতে রাজি হন নি।
সাতক্ষীরা, ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল সরকার মো.মোস্তাফিজুর রহমান জানান- ‘ওই দিন রাতে বাগানের ভিতরে ঘুটঘুটে অন্ধকারে চোরাকারবারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছিলো। গুলি বর্ষণের পর কারো গায়ে লেগেছিলো কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে তছনছ করে খোজা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে সেখান থেকে টানা পন্য উদ্ধার হয়।
তিনি আরো জানান- ‘বিভিন্ন তথ্যে জেনেছি কোন এক চোরাকারবারী গুলিবিদ্ধ হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছে কিন্তু কোথায় সেটা জানা যায়নি। পরে শুনিছে সে মারা গেছে, তবে বিজিবির গুলিতে কিনা সেটা নিশ্চিত নয়।’ এদিকে, কেঁড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল নিহতের বিষয়টি আমাদের প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেন।
Please follow and like us: