জামাত শিবিরের হামলা, হত্যা ও মাদকের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর সাংবাদিক ইয়ারব

স্টাফ রিপোর্টার:
১৯৯৩সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পাঠকের কাগজ উদ্বোধন করেন। ওই কাগজে ইয়ারব হোসেনের সাংবাদিকতা শুরু। এরপর যশোরের রানার ও কল্যাণে  পরে মানবজমিন পত্রিকায় যোগদেন তিনি।এরপর ২০০০ সালে যোগদান পত্রদূত ও পরে দৈনিক সাতনদী পত্রিকায়।
তিনি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের একাধিকার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। সাফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে। জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা,জামাত শিবিরের হামলা, রাস্তা অবরোধ,হত্যা ,পুলিশের উপর হামলা ও মাদকের বিরুদ্ধে বরাবর বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর তিনি। এ জন্য তিনি পরিণত হন জামাত শিবিরের টার্গেটে। এখনও  পর্যন্ত তিনি আপোষহীনভাবে জামাত শিবির ও মাদকের বিরুদ্ধে তার লেখোনি অব্যাহত রয়েছে।
২০১৩সালে জামাত শিবিরের নেতা কর্মীরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সাতক্ষীরায় ঘটতে থাকে একের পর হত্যা ও হামলা । সাথে চলে সড়ক অবরোধ পুলিশের উপর হামলা। যা আইন শৃংখলারক্ষাকারি বাহিনী সামাল দিতে হিমসিম খেতে হয়। ওই বছর ৩০ নভেম্বর সাতক্ষীরায় যাওয়ার পথে দেবনগর এলাকায় পৌছালে জামাত নেতা হাবিবুর,শিবির নেতা আজি, ইব্রাহিম,বাসার,রায়হানসহ১২/১৩জন শিবির ক্যাডার তার উপর হামলা চালায়। ভেঙ্গে দেওয়া হয় তার ডান পা ও হাত। থেথলে দেওয়া হয় সারা শরীর।কোপানো হয় তার মাথায়। মৃত্যু ভেবে তাকে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়। সেদিন সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন তাদের কাছে হাত ও পা ধরে প্রাণ ভিক্ষা চাইলে তারা সেদিন রক্ষা করেনি, ইয়ারবকে। পরে সাংবাদিক ও আইন প্রয়োগকারি সংস্থার সহযোগিতায়  তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে সাতক্ষীরার সাংবাদিকরা ফুসে উঠে। আসামিদের গ্রেপ্তার ও শান্তির দাবিতে মানববন্ধন, ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। এ ছাড়া এলাকবাসী রাস্তায় নেমে আসে এ ঘটনার প্রতিবাদে। ১ মাস ৭ দিন পর ৫ জানুয়ারি বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাড়িতে ফেরেন সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন। হামলার পরের দিন কালের চিত্র,পত্রদূতসহ সকল স্থানীয় পত্রিকায় লিড নিউজ প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে। ছাপা হয় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে।

২২ জানুয়ারি প্রধান শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে তার চিকিৎসা খরচ দেন ২ লাখ টাকা। তিনি নিজে এ টাকা প্রদান করেন। ওই বছরে জামাত শিবিরের তান্ডব ও রক্তাত্ব বাংলাদেশ শিরোনামে একটি বই প্রকাশ করেন বাংলাদেশ আওয়ামলীগ । ওই বই উদ্ধোধনী অনুষ্টানে প্রধান মন্ত্রীর আমন্ত্রণে ঢাকায় ওসমানি স্মৃতি মিলানাতয়নে সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন যান। ওই বইতে সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনকে জামাত শিবিরের হামলার ঘটনা বাংলায় ও ইংরেজিতে লেখা হয়। যা সারা বিশ্বের রাষ্টদ্রুতরা পড়েছেন। এ ছাড়া ২০০২ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য তার গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়। হামলায় কয়েক জন আওয়ামীলীগ নেতা ও সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি,হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন ও কালিদায় রায় সহ অনেকে আহত হয়।
এ ঘটনায় মামলা হয়। মামলার বর্তমান স্বাক্ষী সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন। সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন কে বর্তমানে ভারত থেকে  চিকিৎসা নিতে হচ্ছে  । এখনও তিনি স্বভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি।তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাস্তবায়নে সামনে থেকে ভুমিকা রেখে চলেছে।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)