অশাশুনিতে মস্তিষ্ক বিকৃত স্বামীর সহায়-সম্পত্তি উদ্ধারে স্ত্রীর আকুতি

জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :

আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে মস্তিষ্ক বিকৃত স্বামীর সহায় সম্পত্তি উদ্ধার ও অত্যাচার-নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে অসহায় স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শম্পা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সকরুণ আকুতি জানিয়েছেন।
তালা উপজেলার হরিহর নগরের বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃত হাজী আমজাদ হোসেনের কন্যা শম্পার সাথে বিয়ে হয় বাহাদুরপুর গ্রামে আলহাজ¦ ছমির উদ্দিনের ছেলে আঃ রশিদের সাথে। বিয়ের পর তাদের ঔরষে দু’টি সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু স্বামী আঃ রশিদ মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটে। ভার্সিটি পড়–য়া আঃ রশিদ এখন মস্তিষ্কবিকৃতির কারণে প্রায়শঃই পথে পথে ঘুরে বেড়ায়। ফলে নেমে আসে তাদের পরিবারের উপর চরম ষড়যন্ত্র। আঞ্জুমান আরা শম্পা কান্না জড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের জানান, মূল ভিটেবাড়ি ৩৪ শতক জমিতে। সেখানে ৪ কক্ষ ও ১টি সিড়িঘর বিশিষ্ট বিল্ডিং-এ ৪ ভাইয়ের বসবাস ছিল। একেক জনকে একটি ঘর ও সমপরিমাণ জমি সামনে পিছনে রেখে ভাগ করা হয়েছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্র ও জোরপূর্বক তার ভাগে থাকা সিড়িঘর দখল করে নিয়েছে অন্য ভাইরা। ঘরের সামনের জমি ৩/৪ হাত করে অবৈধ দখল করে সেখানে প্রাচীর দিয়েছে।

এসব কাজে বাধা দিতেগেলে আমাদের উপর নেমে আসে অত্যাচার ও নির্যাতন। বাধ্য হয়ে ২৬/১২/১৩ তাং আশাশুনি থানায় তাদের বিরুদ্ধে জিডি (নং-৯৬৭) করি। এরপরও তারা ষড়যন্ত্র থাম্য়ানি। তিনি বলেন, বুধহাটা বাজারে  তাদের ৪ কক্ষ বিশিষ্ট দোকার ঘর আছে। সেটি থেকেও তারা আমাদেরকে বঞ্চিত করলে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগের পর গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এক শালিসে লিখিত ভাবে ৪টি ঘর ৪ ভাইকে পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু অন্য ৩ ভাই তাদের ঘর দখল পেলেও হীন চক্রান্তে আমার ঘরটি আজো দেওয়া হয়নি। তারা জবর দখল করে চলেছে। প্রতিবাদ জানাতে গেলে তারা আমাদেরকে শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে। এরই জেরধরে গত ৮ ডিসেম্বর রাত্র ৭.৩০ টার দিকে ভাড়াটিয়া গুন্ডা এনে আমাদের বাড়িতে হানা দেয়।

এ ব্যাপারে ১২ ডিসেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ করি। সম্প্রতি আমার ভাগে থাকা পিছনের কবরের পাশের জায়গায় ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আপোষে রান্নাঘর করার সিদ্ধান্ত হলে সেখানে ঘর বাধতে গেলে দেবর পিন্টু বাধা দিচ্ছে। ঘর বাধতে গেলে খুনজখমীর হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।ফলে আমরা চরম নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছি। তিনি বলেন ভিটেবাড়ির বক্রী প্রায় সাড়ে ৬ একর জমি ভাগ করলেও আরও দু’টি কবরস্থানের জমি আমার মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমার বাড়ি থেকে বের হওয়ার দরজা বন্দ করে দিলে বাধ্য হয়ে সামনের প্রাচীর কেটে দরজা করতে হয়েছে। চরম বিপদাপন্ন শম্পা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এব্যাপারে শহিদুল ইসলাম পিন্টু জানান, তার জমাজমি আমার দখলে নেই। তার জমাজমি দেখাশুনা করে বড় ভাই। রান্না ঘর নির্মাণের সময় বড় ভাইকে না জানিয়ে কাজ করতে যাওয়ায় বড় ভাই বন্দ করে দিয়েছে। ইতিপূর্বে পুলিশিং কমিটি, ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তি শালিসের মাধ্যমে সমস্যা মীমাংসা করে দিয়েছে। তাদের সাথে আমার কোন গোলযোগ নেই।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)