কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি হামলা মামলার আসামি টাকার বিনিময়ে মুক্তি!
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলাসহ নাশকতা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে বিএনপি নেতা মফিজুল ইসলাম (৪৫) কে গ্রেফতারের নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে । শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর সদরের গদখালী গ্রামে বিএনপি নেতা মফিজুল ইসলামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে একই গ্রামের মৃত আকরাম গাজীর ছেলে। এ ঘটনার পর স্থানীয় এলাকাবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এসআই ইসমাইলের ভয়ে কোন কথা বলতে রাজী হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গদখালী গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি জানান, শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কলারোয়া থানার এসআই ইসমাইল হোসেন বিএনপি নেতা মফিজুল ইসলাম মফির বাড়িতে অভিযান চালায়। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার আসামি ও বিএনপি নেতা মফিজুলের হাতে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য এসআই ইসমাইলের মটরসাইকেলে উঠতে বলে। পরে গ্রেফতারকৃত বিএনপি নেতা মফির এসআই ইসমাইল তাকে থানায় না নিয়ে বরং তার বাড়িতে অবস্থান নেয়। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ করে বলেন, প্রায় এক ঘন্টা থানার এসআই ইসমাইল হোসেন তার বাড়িতে ছিলে। পরে এসআই গ্রেফতারকৃত বিএনপি নেতা মফিজুল ইসলামের হাতকড়া খুলে দিয়ে গোপনে কিছু কথা বলে চলে যান। পারিবারিক ভাবে তারা জানতে পারেন মফিজুলের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিলো সে কারণে পুলিশকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে এছাড়া পুলিশ তাকে কয়েকদিন বাড়িতে বাইরে থাকতে বলেছে। এ ঘটনার পর স্থানীয় এলাকাবাসী কলারোয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইসমাইলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে তারা এসব দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। স্থানীয় সংবাদকর্মীরা বিএনপি নেতা মফিজুল ইসলামের বাড়িতে যায় কিন্তু তিনি বাড়িতে ছিলেন না এবং তার সেলফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে এ সময় তার পরিবারের কেউ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন আসামী ছেড়ে দেয়া এবং টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, মফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকায় আমি তাকে গ্রেফতার করার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম ।তবে তিনি বাড়িতে না থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে সাবেক পৌর কাউন্সিলর জামায়াত নেতা আশরাফ হোসেন বাবুর কাছ থেকে মামলার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং কোন মন্তব্য না করে জরুরী কাজ আছে বলে চলে যান।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব দেব নাথ এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে মফিজুলকে নয় তার ভাইকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়েছিল। মফিজুলকে পাওয়া গেলেই গ্রেপ্তার করা হবে।
Please follow and like us: