১৩-তেই মা!

দিনাজপুরে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৩) সন্তানের মা হয়েছে। তবে এ মা হওয়া ইচ্ছাকৃত নয়। তাকে মা হতে হয়েছে কলেজ পড়ুয়া প্রাইভেট শিক্ষকের ধর্ষণের শিকার হয়ে।

গত বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার দলারদর্গা বাজারে কেএইচএম ম্যামরিয়াল হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেয় সে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিশুটির বয়স যখন পিঠে ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাওয়ার। স্কুলের বই বহন করতেই যখন হাঁসফাঁস অবস্থা, তখন সেই শিশুটিকেই পেটে করে বহন করে বেড়াতে হয়েছে আরেকটি শিশুকে। আর এর জন্য দায়ী পাশের বাড়ির প্রভাবশালী সাইদুর রহমানের ছেলে প্রাইভেট শিক্ষক রবিউল ইসলাম (২৩)।

শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, রবিউল ইসলামের কাছে টিউশনি পড়তে গিয়ে তার কাছেই ধর্ষণের শিকার হয় তাদের মেয়ে। এই ঘটনায় গত ৭ জানুয়ারি নবাবগঞ্জ থানায় ওই যুকবের বিরুদ্ধে মামলা করেন ধর্ষিত শিশুটির বাবা। তদন্ত শেষে গত ১৯ মার্চ রবিউল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহিন আলম। মামলা হওয়ার পর থেকে রবিউল ইসলাম পলাতক রয়েছে।

মামলার বিবরণে ও ধর্ষণের শিকার শিশুটির কাছ থেকে জানা গেছে, শিশুটি গ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে উঠেছিল মাত্র। সে প্রতিবেশী কলেজ পড়ুয়া তরুণ রবিউল ইসলামের কাছে টিউশনি পড়তে যেত। একা টিউশনি পড়ানোর সুযোগ নিয়ে অংক ভাল করে বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে একদিন তাকে ধর্ষণ করে রবিউল ইসলাম। সে ভয়ে বিষয়টি কাউকে বলেনি।

গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর হঠাৎ করে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে সময় মায়ের কাছে ঘটনা খুলে বলে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তার আলট্রাসনোগ্রাম করানো হলে সে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে নিশ্চিত হয় পরিবারটি। গত বৃহস্পতিবার শিশুটি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। মা সন্তান দু’জনেই সুস্থ্য আছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর থেকে ধর্ষক পলাতক রয়েছে। মামলার চার্জশিট কোর্টে জমা দেয়া হয়েছে। রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)