‘ হার দেখবো? মাশরাফিকে বললাম ওপেন করো

কয়েকদিন আগেই শেষ হওয়া এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। যদিও টুর্নামেন্টে ফাইনাল ছাড়া কোনো ম্যাচে উদ্বোধনী জুটি ভালো করতে পারেনি। তামিম ইকবাল ছিটকে যাওয়ার পর নতুন জুটি লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তও ছিলেন ব্যর্থ। অঘোষিত সেমিফাইনালে সুযোগ পেয়েছিলেন এশিয়া কাপের মাঝপথে দুবাই উড়ে যাওয়া সৌম্য সরকার। কিন্তু ব্যর্থ ছিলেন তিনিও। অবশ্য ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ওপেনিং জুটিতে চমক দেখিয়েই সফলতা পায় বাংলাদেশ।

ফাইনালে লিটন দাসের সঙ্গী হিসেবে ব্যাটিংয়ে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। গড়ে তোলেন ১২০ রানের উদ্বোধনী জুটি। লিটনের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের প্রশংসাই পেলেন মিরাজ।

তরুণ এই অলরাউন্ডারে সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করে তাকে একজন যোদ্ধা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন পাপন। যদিও মুদ্রার উল্টো পিঠের কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি বিসিবি প্রধান। পাপনের মতে, ভারতের বিপক্ষে সেদিন ওপেনিংয়ে নেমে মিরাজ যদি খারাপ খেলতেন তাহলে হয়তো আজ হিতে বিপরীত হতো। যে মিরাজকে নিয়ে এত স্তুতি বাক্য উড়ছে চারপাশে সেই মিরাজকেই ভিলেন বানাতে দ্বিধা করতো না এদেশের সংবাদমাধ্যম। বিষয়টি বোঝাতে তিনি উদাহরণ টেনেছেন এশিয়া কাপের মাঝপথে সৌম্য সরকার-ইমরুল কায়সেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে।

এ নিয়ে বিসিবি সভাপতির ভাষ্য, ‘আমরা যদি মিরাজকে শুধু বোলার হিসেবে চিন্তা না করে ব্যাটসম্যান হিসেবে কাজে লাগাই তাহলে সে ভালো করবে। সে একজন ফাইটার। কিন্তু এখানেও (জিম্বাবুয়ে, উইন্ডিজ) কি মিরাজই হবে নাকি? এখন সমস্যা হচ্ছে পরীক্ষা নিরিক্ষা করতে গেলে কিন্তু ঝুঁকি আছে। আমরা হারতেও পারি। কিন্তু আমাদের ভবিষ্যৎ ঠিক করার জন্য এগুলো করতে হয়। এখন কি বলব, আমাদের মিডিয়া তো ভয়ঙ্কর।’

‘এই যে, ইমরুল আর সৌম্যকে যখন নিলাম, সবাই তো আমাকে মেরেই ফেলে। যদি খারাপ খেলত তাহলে তো আমি শেষ। আমাদের তো কিছু করতে হবে। বসে বসে তো দেখব এই জিনিস? করব টা কি? ওরা পারছে না, তিনটা ম্যাচ তো দেখলাম। আমি কি এমন বসে বসে হার দেখব? এটা তো হয় না। আর ইমরুল কি দারুন খেলেছে, সে না খেললে ম্যাচই হেরে যেতাম। সৌম্য ভালো বল করেছে, ফিল্ডিং ভালো করেছে। যদিও তাকে বোলিংয়ের জন্য নিইনি।’

ফাইনালে কিন্তু মিরাজ নয়, মাশরাফিকেই ওপেনিংয়ে চেয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি। এ নিয়ে পাপন বলেন, ‘ওপেনিং এত খারাপ হচ্ছিল, ১৬-১৭ রানে দুই তিনটা উইকেট হারিয়ে ফেলি, মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। বলছিলাম, তিন উইকেট পড়ার পর যাবো মাঠে, এখন এ সব রাগ করে বলি আর কি, কি করব, কিছুই হচ্ছে না। তখন মিটিংয়ে মাশরাফিকে বললাম, তুমি ওপেন কর। মাশরাফি পরে রাতে মিরাজকে বলল, মিরাজ রাজি হল। মিরাজের তো আবার সাহসের অভাব নেই, সে প্রচুর সাহসী, আর সে খুবই ভালো খেলেছে। সে আসলে কিন্তু অনেক ভালো ব্যাটসম্যান, এতে সন্দেহ নেই।’

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)