স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে না সাকবের আঙুল

বাংলাদেশে ক্রিকেটের অন্যতম স্তম্ভ, পঞ্চপান্ডবের অন্যতম সারথি টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের চোটগ্রস্ত আঙুল আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে না। তার চিকিৎসা চলছে মূলত ক্রিকেট খেলাটা চালিয়ে যাওয়ার উপযোগী করতেই । বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে অস্ট্রেলিয়া উড়াল দেওয়ার আগে এমনটাই জানিয়েছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার। শুক্রবার রাত ১০টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে অস্ট্রেলিয়া উড়াল দেন সাকিব।

1.স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে না সাকবের আঙুল

ঢাকা ছাড়ার আগে সাকিব এমনটাই জানান সংবাদমাধ্যমকে। তিনি বলেন ,’ইনফেকশনটা (সংক্রমণ) আমার সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার জায়গা। কারন’ওইটা যতক্ষণ পর্যন্ত জিরো পার্সেন্টে না আসবে,ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো সার্জন অপারেশনে হাত দিবে না। ঐটা হাত দিলে বোনে চলে যাবে,আর বোনে চলে গেলে পুরো হাত নষ্ট। তবে,এখন আসল ব্যাপারটা হচ্ছে কীভাবে ইনফেকশনটা কমানো যায়।’

অস্ট্রেলিয়ায় সাকিবের হাত দেখবেন ডক্টর গ্রেগ হয়। তার হাতের অবস্থা দেখার পর গ্রেগ হয় অস্ত্রোপচার নিয়ে মত দেবেন। তবে অস্ত্রোপচার হলেও আঙুল শতভাগ ঠিক হবে না বলেই জানালেন সাকিব,‘এই আঙুলটা আর কখনো শতভাগ ঠিক হবে না। যেহেতু নরম হাড্ডি,আর কখনো জোড়া লাগার সম্ভাবনা নেই। পুরোপুরি ঠিক হবে না। সার্জারি করে ওরা এমন একটা অবস্থায় এনে দেবে হাতটা,আমি ব্যাট ভালোভাবে ধরতে পারব,ক্রিকেট খেলাটা চালিয়ে যেতে পারব।’

এ বছরে আর মাঠে ফেরা হচ্ছে না সাকিবের। আগামী জানুয়ারির বিপিএল দিয়ে মাঠে ফেরার আশা তার,‘ইনফেকশনটা দূর করতে হবে। ওইটা চলে গেলে আসলে বোঝা যাবে কত সময় লাগবে। আর আসল সার্জারি করা হলে ছয় থেকে আট সপ্তাহ লেগে যাবে। সাধারণত ছয় সপ্তাহের মধ্যেই হয়ে যায়,দুই সপ্তাহ বাড়তি ধরে রাখা হয়। যদি ছয় সপ্তাহের ভেতর হয়ে যায় তাহলে বিপিএলে খেলতে পারব।’

এ বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাঁ হাতের কনিষ্ঠায় চোটটা পেয়েছিলেন সাকিব। চোট কাটিয়ে মার্চে শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফির শেষ দিকে ফেরেন মাঠে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আবার মাথাচাড়া দেয় পুরোনো চোট। পরে স্ক্যান করানোর পর জানা যায়, আঙুলের মাঝের হাড় সরে গেছে। অস্ত্রোপচার যে লাগবে,সেটা জানা গিয়েছিল তখনই।

2.স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে না সাকবের আঙুল

সাকিব চেয়েছিলেন,এশিয়া কাপে না খেলে এই সময় অস্ত্রোপচার সেরে ফেলবেন। কিন্তু দলের চাহিদা মেনে শেষ পর্যন্ত এশিয়া কাপে খেলার সিদ্ধান্ত নেন। খেলেন চারটি ম্যাচও। কিন্তু চোট ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় সেমিফাইনালে পরিণত হওয়া পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ফিরে আসেন দেশে।

আঙুলের অস্ত্রোপচার করাতে সাকিবের যাওয়ার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু যাওয়ার আগে হাতে ব্যথাটা আরো বেড়ে যায়। দ্রুত চলে যান অ্যাপোলো হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন,চোট পাওয়া আঙুল থেকে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়েছে। পুঁজ জমে ভয়াবহ অবস্থা। সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রোপচার করে পুঁজ বের করা হয়। পরদিন সাকিব জানান,আর কয়েক ঘণ্টা দেরি হলে তার হাতটাই অকেজো হয়ে যেতে পারত!

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)