সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা সত্যি কী সিজোফ্রেনিয়ার রোগী?

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে এই সময়ে সবচেয়ে আলোচিত ও সমালোচিত ব্যক্তির নাম সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা। কিম্ভুতকিমাকার ভঙ্গিতে বাংলাদেশ ও সমসাময়িক বিষয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আর অদ্ভুত, অশ্লীল ও বেপরোয়া কথাবার্তা ছড়াচ্ছেন ভার্চুয়াল জগতে।

প্রথমের দিকে সেফুদা নামটি তার নামের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তখন তার ফেসবুক লাইভ দেখার মতো মানুষও ছিল না। সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশের এক ক্রিকেটারের সাথে এক তরুণীর ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময়য় সিফাত উল্লাহ ফেসবুকে একটি লাইভ করেন। তখন থেকেই মূলত তার লাইভে দর্শক বাড়তে থাকে।

জানা গেছে, সিফাত উল্লাহর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। ১৯৯০ সাল থেকে তিনি অস্ট্রিয়ার রাজধানীর ভিয়েনায় অবস্থান করছেন। তিনি যে মাদকাসক্ত তা স্পষ্ট। তিনি প্রায়ই লাইভে এসে মদের গুণাগুণ বর্ণনা করেন এবং মদ পান করেন। তার ‘মদ খাবি মানুষ হবি’ সংলাপটাও এখন ইন্টারনেটে ভাইরাল। 

অল্প সময়ে ফেসবুক তারকা বনে যাওয়া এ সেফুদা মূলত মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তার এমন কর্মকাণ্ডে পরিবারসহ আত্মীয়-স্বজন খুবই লজ্জিত বলেন তার স্ত্রী। জানা যায় তার পুরো নাম সেফাতউল্লাহ মজুমদার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়া করেছেন।

ভিয়েনা বাঙালি কমিউনিটি সূত্রে, ভিয়েনা বাংলাদেশ কমিউনিটির এক পারিবারিক ঝগড়ার কারণে কোর্টের রায়ে দীর্ঘদিন ভিয়েনায় জেল খাটেন সেফাতউল্লাহ। মুক্ত হবার পর অস্ট্রিয়ার আইন অনুযায়ী তার লিগ্যাল হবার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে। স্ত্রী সন্তানদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তিনি। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন সেফাতউল্লাহ।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে সিফাত উল্লাহর স্ত্রী বলেন, আমরা এখন কি করতে পারি, এগুলো বন্ধ করার কি কোনো উপায় নেই? সে তো অসুস্থ কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ কি এগুলো বন্ধ করে দিতে পারেনা? উনিতো আসলে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)