সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ গ্রাহক
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কালিগঞ্জ জোনালের অধীনস্থ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বিভিন্ন স্থানে ভুতুড়ে বিলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। প্রায় প্রতিদিনই কালিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কালিগঞ্জ জোনাল অফিসে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে হাজির হচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা। এতে করে একদিকে বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তারা যেমন বিপাকে পড়েছেন তেমনি গ্রাহকদের মাঝেও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, আশাশনি ও দেবহাটার বিভিন্ন স্থানের গ্রাহকরা বিদ্যুৎ অফিস থেকে প্রেরিত ভুতুড়ে বিল নিয়ে ভোগান্তি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তেরও অভিযোগ করেন।
গ্রাহকরা বলেন, এ অবস্থায় বাড়তি টাকা খরচ করে অফিসে গিয়ে বিল সংশোধন করে আনতে হয়েছে। অফিসের স্টাফদের আচার-আচরণও ভালো নয়। তাছাড়া অনেক স্থানে নিয়মিত মিটার রিডিং না দেখেই বিল তোলে দেওয়া হয়। ফলে কোনো মাসে বিদ্যুৎ বিল খুব কম আবার কোনো মাসে খুব বেশি আসে।
কালিগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকদের অভিযোগ প্রথম নয়। প্রায়ই বিদ্যুৎ বিল দেখে অনেক গ্রাহকের চোখ কপালে উঠে যায়। ব্যবহৃত ইউনিট না দেখেই অতিরিক্ত বিল করা হয়, আবার বিল নিয়ে অভিযোগ করতে গেলে হয়রানির শিকার হতে হয়। এসব হয়রানির কারণে গ্রাহকরা চরম অতিষ্ঠ।
বিদ্যুৎ গ্রাহকরা আরো বলেন, সার্ভিস চার্জ ও ভ্যাট ছাড়াও বিদ্যুৎ বিলের সাথে প্রতিমাসে দশ টাকা হারে মিটার ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে। অথচ টাকা দিয়ে মিটার কিনে নেওয়ার পরও মাসে মাসে মিটার ভাড়া দিতে হচ্ছে। এসব বিষয়ে সঠিকভাবে তদারকি করার কেউ নেই। লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ চলে গেলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও কারণ জানতে চেয়ে প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের মোবাইলে ফোন করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেন না।
অভিযোগ রয়েছে, মিটার রিডিং না দেখেই বিল তৈরি করছে কিছু সংখ্যক পল্লী বিদ্যুৎ কর্মী। ভুতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ গ্রাহকরা অফিসে ধরনা দিয়েও কোনো কুল-কিনারা পাচ্ছেন না। এতে করে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। একদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিং, অন্যদিকে বাড়তি বিদ্যুৎ বিল, সবমিলিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
অভিযোগ বিষয়ে কালিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার বলেন, এভাবে কোনো সময় এক মাসের পরিশোধিত বিল অন্য মাসের সাথে যুক্ত হয়নি। কিছু বইয়ের সমস্যা থাকার কারণে সম্প্রতি কয়েকটি বিলে পরিশোধিত পূর্বের বিল যুক্ত করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি আরো গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া গ্রাহকদের সাথে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা কখনো কোনো খারাপ আচরণ করেননি। যথাসাধ্য আমরা গ্রাহকদের নিয়মিত সেবা দিয়ে যাচ্ছি।