সাতক্ষীরায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী আবদুল কুদ্দুস কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত
নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী স্ত্রী মাশহুদা সুলতানাকে হত্যার দায়ে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র স্বামী আবদুল কুদ্দুসকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম জনাকীর্ন আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন। আসামি আবদুল কুদ্দুস এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে ২০১২ সালের ২২ জুন স্বামী আবদুল কুদ্দুস তার শ্বশুর বাড়ি সাতক্ষীরার খানপুর গ্রামে পীর পরিবারে বেড়াতে আসেন। রাতে তিনি তার স্ত্রী মাশহুদা সুলতানাকে কলার সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন অবস্থায় রশি ও গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। ভোরে তিনি ফজরের নামাজ আদায়ের কথা বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। সকালে ঘাতক কুদ্দুস সাতক্ষীরা থানায় আত্মসমর্পণ করে পুলিশকে জানান তিনি তার স্ত্রী মাশহুদাকে হত্যা করেছেন। কুদ্দুস পরে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। ঘাতক কুদ্দুস খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকন্ঠপুরের মো. মহিউদ্দিনের ছেলে।
আদালত বলেন আবদুল কুদ্দুস কর্তৃক স্ত্রী মাশহুদাকে হত্যার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলেও তার বয়স বিবেচনায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
সরকার পক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. কার্তিক চন্দ্র দাস। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাড. হায়দার আলি ও অ্যাড. আবুবকর সিদ্দিক ।
Please follow and like us: