সাতক্ষীরায় রেকডীয় সম্পত্তি রক্ষার দাবিতে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

শহর প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরায় জনৈক শাহীন ইকবাল কৃর্তক ভূয়া পাওয়ার সৃষ্টি করে রেকডীয় সম্পত্তি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার বাবুল গাজীর ছেলে মোঃ আব্দুস সালাম।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাতক্ষীরা মৌজার এস.এ-৫৬৭/১ ও ১৬২৭/১ নং-খতিয়ানভূক্ত ৩.৩৭ একর সম্পত্তির মধ্যে ১.২৭ একর সম্পত্তি বিগত ১৭/০১/১৭ তারিখে জনৈক জবেদা খাতুনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় দলিলপত্র বুনিয়াদে এবং যাচাই বাছাই করে সাতক্ষীরা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের ২৯২/১৭ নং দলিল বুনিয়াদে প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন ভোগ দখল করে আসছি। আমার পূর্বাধিকারীগণের যাবতীয় দলিলপত্র সদর সহকারী জজ আদালতে ১৫৪/১৬ নং মামলায় অন্তর্ভুক্ত ও মামলাটি চলমান। উক্ত সম্পত্তিতে ঘরবাড়ি নির্মাণসহ বিভিন্ন গাছ পালা লাগানো আছে। সম্প্রতি সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকায় বসবাসকারী আশাশুনির শ্রীউলা গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে শাহীন ইকবাল আমার কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে আমার পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যে মামলা দেয়াসহ জমি দখলের হুমকি দিতে থাকে। তিনি ২৮/০৪/৬০ তারিখের ২৪৪৮ নং এক জাল কোবলা (কালিগঞ্জ), ১৭/০৫/৬৭ তারিখে ইসলামকাটি সাব রেজিস্ট্রি অফিসের ২০২৬ নং একটি  জাল কোবলা ও ১৯৭৭ সালের দেং-১৭/৭৭ নং আরবী রায় ডিগ্রি ও পরবর্তীতে ফিংড়ী সাকিনের জনৈক সোহাগের নামে জাল পাওয়ার সৃষ্টি করে সাতক্ষীরা সাব জজ-১ আদালতে জাল দলিলের ফটোকপি জমা দিয়ে ৫০/১৫ নং মামলা দায়ের করেন। মামলায় আমার পূর্বাধিকারী জবেদা খাতুন ও রুস্তুম আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ হাজির হয়ে জবাব দাখিল করলে আদালত তাদের আসল দলিল হাজির করার নির্দেশ দেন। এসময় তারা ব্যর্থ হয়ে সুপ্রিম কোর্ট বিভাগে তাদের নিজ মামলার বিরুদ্ধে রিট পিটিশন করেন। এরপর জবেদা খাতুন বাদী হয়ে সদর সহকারী জজ আদালতে দায়ের করা দেং-১৫৪/১৬ নং মামলাটি নিষেধাজ্ঞার আদেশের জন্য চলমান আছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ৩ এপ্রিল একাধিক মামলার আসামী শাহীন ইকবালের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা উক্ত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের জন্য গেলে এলাকাবাসী তাদের প্রতিরোধ করে। নিজেকে বিভিন্ন পরিচয়দানকারী শাহীন ইকবাল সাব রেজিস্টারকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করে যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার কোন ভিত্তি নেই। তিনি তার রেকডীয় সম্পত্তি রক্ষা ও শাহীন ইকবালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)