সাতক্ষীরায় কুড়িয়ে পাওয়া অচাষকৃত শাকের রান্না প্রতিযোগিতা
শহর প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় গ্রামীণ নারীদের অংশগ্রহণে কুড়িয়ে পাওয়া অচাষকৃত শাকের রান্না প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সাতক্ষীরার সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের জেয়ালা গ্রামে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বার্ষিকের সহযোগিতায় জেয়ালা কৃষক সংগঠন এই রান্না প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা প্রত্যেকে বাড়ির আঙিনা, খাল-বিল, জলাশয় থেকে কুড়িয়ে আনা একটি করে শাক রান্না করেন। পরে বিচারিক প্রক্রিয়ায় রান্না করা শাকের স্বাদ গ্রহণ, কী কীউপকরণ দিয়ে রান্না করা হয়েছে এবং রান্নাকৃত শাকের উপকারিতা কি- এই তিনটি প্রশ্নের ভিত্তিতে কাঁটা কচুর ফুল রান্না করে ১ম স্থান অধিকার করেছেন গৃহিনী কণিকা রানী, কচু শাক রান্না করে ২য় হয়েছেন নাজমা আক্তার এবং তেলা-কচু শাক রান্না করে ৩য় হয়েছেন মিতালী বাউলিয়া। জাকজমকর্পূণ ব্যতিক্রমধর্মী এ প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্থানীয় কৃষি পরামর্শক ইমদাদুল পরে বিজয়ীদের মাঝে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফ্ফার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় কৃষক ফকির চাঁদ ঢালী, মাছখোলা বেতনা নারী সংগঠনের নেত্রী আশুরা বেগম, সাথী আক্তার, বার্ষিক’র সহকারী কর্মসূচি কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম, কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর মাহিদা মিজান, যুব সংগঠক ফজলুল হক প্রমুখ।ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজন সম্পর্কে বার্ষিক’র যুব সংগঠক ফজলুল হক জানান, ‘আগাছা বলে কিছু নেই, হয় সেটা ঔষধি, না হয় খাদ্যের বনজ উৎস। প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া অচাষকৃত শাক, লতাপাতা, গুল্ম, ফলমূল ও উদ্ভিদ গ্রামীণ জনপদের পুষ্টির অন্যতম উৎস। অচাষকৃত উদ্ভিদ বৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং ব্যবহারে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে এই আয়োজন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জন সম্ভব।