সাতক্ষীরায় এবার ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুললেন কাজের মেয়ে!

নিজস্ব প্রতিনিধি: “অনৈতিক সম্পর্কের জের ধরে একাধিকবার আমাকে ধর্ষণ করেছেন। প্রতিবাদ করায় বিচারক হারুন অর রশিদ প্রভাব খাটিয়ে আমার বাবা ও ভাই ও বোনের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করিয়ে জেল খাটাচ্ছেন। এমন কি তার সহযোগীদের দিয়ে আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়েছে।”

মঙ্গলবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে এসব কথা বলেন তার বাড়ির কাজের মেয়ে (মুক্তা খাতুন)।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “সাতক্ষীরার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুন অর রশীদ ও আমার বাড়ি একই গ্রাম খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরাঘোনায়। সেই সুবাদে গত তিন বছর যাবত মাসিক ৫০০ টাকা বেতনে আমি তার বাড়িতে কাজের মেয়ে হিসাবে কাজ করছি। হারুন অর রশীদ তার চাকুরিস্থল থেকে প্রতি সপ্তাহে একবার করে বাড়ি আসতেন। বাড়িতে এসে সুযোগ বুঝে তিনি অনৈতিক সম্পর্কের জের ধরে একাধিকবার আমাকে ধর্ষণ করেছেন। আমি না চাইলেও তিনি জোর করে আমাকে ব্যবহার করেছেন। এর প্রতিবাদ করে কাজ করতে না চাইলে তিনি হুমকি দিয়ে বলতেন বিষয়টি কাউকে জানালে তোর পরিবারকে জেল খাটাবো। এর কয়েকদিন পর হারুন অর রশীদ তার আত্মীয় তালা উপজেলার আলাদিপুর গ্রামের সাজ্জাত হোসেনকে দিয়ে তারই আদালতে গত ১৯ এপ্রিল এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির একটি মামলা করান। ওই মামলায় আসামি করা হয় আমার বাবা আবুবকর মোড়ল , ভাই শরিফুল ইসলাম ও বোন ইরানী পারভিনকে। ওই মামলায় আমার বাবা ও ভাই এখনও জেলে রয়েছেন। বুধবার(৩০ মে) মামলার ধার্য দিন আছে।”

তিনি আরও বলেন, “হারুন অর রশিদ তার সহযোগীদের দিয়ে আমাদের বাড়িঘর ভেঙ্গেচুরে দিয়েছেন। এরপর থেকে আমরা ভাঙ্গা ঘরের ওপর কাগজের ছাউনি দিয়ে কোনোভাবে বসবাস করছি। প্রায় একমাস যাবত হারুন অর রশিদের ভয়ে আমরাা বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছি। প্রতিরাতে আমাদের বাড়ির পাশে উচ্ছৃংখল যুবকরা আড্ডা দিয়ে আতংক সৃষ্টি করছে। এমনকি হারুন অর রশিদ এখন আমার বোন ঢাকায় অধ্যয়নরত ইরানী পারভিনকে খুঁজছেন পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। হারুন অর রশিদ এর আগে আরও দুটি বিয়ে করেছেন। বনিবনা না হওয়ায় তাদের একজনের সাথে এখনও মামলা চলছে হারুন অর রশিদের।”

সংবাদ সম্মেলনের পর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব থেকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুন অর রশিদের ০১৯১৪১৩৩৯৫২ নম্বরে ফোন করা হলে তিনি বলেন, “ওই নামের কোনো মেয়েকে আমি চিনি না। তার অভিযোগও সত্য নয়।”

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)