সাতক্ষীরার মাগুরায় গৃহবধু পিটিয়ে মারাত্মক জখম ॥ আটক – ১

সাতক্ষীরার মাগুরায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধু পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেছে পাষন্ড স্বামী ও তার পরিবার। বুধবার সকালে শহরের মাগুরা গ্রামে এঘটনা ঘটে। আহত ওই গৃহবধু মাগুরা দক্ষিণপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের কন্যা সালমা বেগম। এঘটনায় ভুক্তভোগী সালমা বেগম বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- ৩৩। এতে সদর থানা পুলিশ অবশ্য সালমা বেগমের ভাসুর মামলার ২নং আসামী মিজানুর রহমানকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, বিগত ২০ বছর পূর্বে একই এলাকার আব্দুর রাজ্জাক সরদারে ছেলে ইসমাইল হোসেনের সাথে পরিবারিকভাবে বিবাহ হয় সালমা বেগমের। বিবাহের পর থেকে প্রায়ই ইসমাইল সালমা বেগমকে যৌতুকে দাবিতে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করতো। কিন্তু এসব নির্যাতন সহ্য করে সালমা বেগম মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলো। ইতোমধ্যে তাদের ৪টি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। এদিকে সম্প্রতি দুঃশ্চরিত্র ইসমাইল হোসেন অন্যা মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং সালমা বেগমের উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। টাকা না দিলে খড়িবিলা এলাকার মোনতাজ সরদারের কন্যা আয়শা খাতুনকে বিবাহ করবে বলে জানায় সালমা বেগম কে ইসমাইল। এর জের ধরে গত ১৮ জুন’১৮ তারিখে প্রেমিকা মোনতাজ সরদারের কন্যা আয়শা খাতুনের বাড়িতে অবস্থান করাকালে সালমা খাতুন তার স্বামী ইসমাইলকে বাড়ি যেতে বলেন। এসময় পাষন্ড স্বামী ইসমাইল, ভাসুর মিজানুর রহমান এবং মোনতাজ সরদারের কন্যা আয়শা খাতুন লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে সালমা বেগমকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর জখম করে। এঘটনায় সালমা খাতুন বাদী হয়ে ৩জনের নাম উল্লেখ সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় পুলিশ ২নং আসামীকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন। তবে স্বামী ইসমাইল হোসেন ও আয়শা খাতুন পলাতক রয়েছে।
অন্যদিকে ওই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আসামীদের পরিবারের পক্ষ থেকে বাদীর পরিবারের লোকজনকে খুন, জখম এবং মামলা তুলে না নিলে সালমা বেগমের সরকারি চাকরিরত ২ ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার হুমকি প্রদর্শন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন মামলা বাদী সালমা বেগম। এঘটনায় ভুক্তভোগী সালমা বেগম দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)