সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি:
কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মানপুর মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক  ছাত্রীকে ৬ মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কলেজ ছাত্রের বিরুদ্ধে।এলাকা বাসী সুত্রে ও সরেজমিনে জানা যায় বুধবার রাত ১১ টার দিকে পার্শ্ববর্তী ওই ছাত্রীর ফুফুর বাড়ী থেকে ধর্ষণের সময় কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের হামিদ মীরের ছেলে মীর হারুনুর রশিদ হেলালকে (১৭) এলাকা বাসী হাতেনাতে আটক করে। পরবর্তীতে থানায় খবর দিলে কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক লিয়াকাত আলী হেলালকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় থানায় ওই মেয়ের ও ছেলের পরিবারের সদস্যদের ডেকে নিয়ে ৯০ হাজার টাকা মেয়েকে দেওয়ার  আশ্বাস দিয়ে চাপ প্রয়োগ করে মীমাংসা করে দেন লিয়াকত আলী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাপ্তিবর্গ বলে অভিযোগ করেন মেয়ের পিতা জাবির হোসেন।এবিষয় জানতে চাইলে ভিকটিম বলেন হেলাল তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ ছয়মাস যাবৎ বিভিন্ন সময় তার সাথে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে বুধবার রাত ১১ টার দিকে তার ফুফুর বাড়িতে সে ও তার ফুফাতো বোন থাকার সুবাদে হেলাল তার সাথে জোর পুর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে। সুযোগ বুঝে সে চিৎকার দিলে আশে পাশের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে এবং তাকে আটক করে থানায় সোপার্দ করে। এ বিষয়ে মেয়ের পিতা জাবের আলী জানান তার মেয়ের জীবনটা হেলাল নষ্ট করে দিয়েছে থানায় ৯০ হাজার টাকা দিবে বলে বিচার করে দিয়েছে তবে ছেলের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় নিরাপত্তার অভাবে তারা থানায় অভিযোগ করতে সাহস পাননি বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত হেলালের নিকট  জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার সাথে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক এবং তার সাথে শারীরিক সম্পর্কের কথাও স্বীকার করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে থানার উপ-পরিদর্শক লিয়াকত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন হেলালকে আটক করা হয়েছিল তবে দুই পক্ষের আপসের ভিত্তিতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)