সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী ৩শ’ বছরের গুড়পুকুর মেলা-২০১৮ উদ্বোধন করলেন এমপি রবি

জাকজমকপুর্ণভাবে সাতক্ষীরার ৩শ বছরের ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। রোবাবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার যৌথ আয়োজনে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে এ মেলার উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, উপপরিচালক স্থানীয় সরকার সাতক্ষীরা শাহ্ আবদুল সাদী, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার, জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক শেখ নুরুল হক, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, জেলা শিল্পকলা একাডেমী’র সদস্য সচিব শেখ মোশফিকুর রহমান মিল্টন, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, পৌর প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান, পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ- দৌল্লা সাগর, শাহিনুর রহমান শাহিন, জ্যোৎস্না আরা, ফারহা দিবা খান সাথী, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, শেখ আব্দুস সেলিম, শফিকুল আলম বাবু, মো. শহিদুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান ও মেলার দোকানদারের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিক শিকদারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। মেলা উপলক্ষে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের পুরো জায়গা জুড়ে থাকছে প্রায় ২০০টি মনোহরি পণ্যের স্টল। এছাড়া পলাশপোল স্কুলের আশপাশে লৌহজাতদ্রব্য, বাঁশ ও বেতের দোকান, পলাশপোল স্কুল হতে খুলনা রোডের মোড় পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে নার্সারী দোকান, শিল্পকলা একাডেমির সামনে নাগরদোলা ও রেলগাড়ি, নৌকা, শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার মিষ্টির দোকান। তবে মেলায় জুয়া, হাউজি, লটারী, র‌্যাফেল ড্র, লাকিকূপন, ফড়, চরকি, নগ্ন নৃত্য এবং অননুমোদিত যাত্রাগান, পুতুল নাচ বন্ধ থাকবে। প্রাথমিক পর্যায়ে মেলা চলবে ১ মাস ব্যাপি। মেলার পরিবেশ ভাল থাকলে মেলার সময় বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন মেলা কর্তৃপক্ষ। তবে, এবারের মেলায়ও থাকছে না সার্কাসের আয়োজন। মেলায় আইন শৃঙ্খখলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দানে তৎপর রয়েছে। চাঁদাবাজি ও জুঁয়া বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই নেয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। গোটা সাতক্ষীরা থাকবে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো। প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মেলা চলাকালীন সার্কাস প্যান্ডেলে এবং সাতক্ষীরার রকসি সিনেমা হলে জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়। বোমা হামলায় নিহত হয় ৩ জন। আহত হয় অর্ধশতাধিক। এরপর থেকে মেলা হারিয়ে ফেলে তার ঐতিহ্য। আগের দিনের মত এ মেলা ফিরে পাক তার ঐতিহ্য এমনটি আশা করেন মেলার দর্শনার্থীরা। প্রাথমিকভাবে মাস ব্যাপী এ মেলা চলার ঘোষণা দিলেও দর্শনার্থীদের ও মেলায় আগত দোকানদার কথা ভেবে মেলার সময় বাড়ানো যেতে পারে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)