সাতক্ষীরার আমান হত্যা মামলার দ্রুত বিচার কার্যক্রম শেষ করার দাবি জানিয়েছেন ফাতেমা খাতুন

শহর প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার বহুল আলোচিত বিএনপি নেতা আমান হত্যা মামলাটির দ্রুত বিচার কার্যক্রম শেষ ও সাক্ষীদের যাতে হয়রানি করা না হয় সে ব্যাপারে পুলিশ সুপারের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন নিহতের মা। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান মামলার বাদী পুরতন সাতক্ষীরার মৃত আজিজার রহমানের স্ত্রী মোছাঃ ফাতেমা খাতুন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার ছেলে আমানউল্যাহ আমান সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও জেলা মৎস্যজীবী দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিল। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে বিএনপি’র এক কর্মী সমাবেশ চলাকালে জেলা বিএনপি’র তৎকালীন সভাপতি বহু অপকর্মের হোতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবেব নেতৃত্বে সন্ত্রাসী তরিকুল হাসান, আইনুল ইসলাম নান্টা, মাসুমবিল্লাহ শাহিন, কামরুজ্জামান ভুট্রো ও মানিকসহ আরো অনেকে প্রকাশ্যে দিবালোকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ওই দিন আমি নিজে বাদি হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-১৮/৭১৭) দায়ের করি। পরবর্তীতে মামলাটি জেলা আইনশৃঙ্খা কমিটির সভায় দ্রুত বিচার ও চাঞ্চল্যকর মামলা হিসাবে গণ্য হয় এবং নথিপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু অদ্যাবধি মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তরের আদেশ সাতক্ষীরা আদালতে আসেনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটির বিচার কার্যক্রম দু’বছর আগে শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কোন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। শুধুই দিন পড়ছে। অন্যদিকে ২০১৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে ২৭ জন আসামির বিচার স্থগিতের ৪ সপ্তাহের আদেশ আসে। যা শেষ হওয়ার পর গত ২১ জানুয়ারি মামলার ধার্য্য দিন ছিল। কিন্তু জজ আদালতের বিচারক না থাকায় আবরো দিন পড়েছে। এই সুযোগে অসামিরা ষড়যন্ত্র অব্যহত রেখেছে। তারা আমান হত্যা মামলার অন্যতম স্বাক্ষী পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার মৃত বাবুজান সরদারের ছেলে আহম্মাদ আলীকে একটি ষড়যন্ত্রমূলক নাশকতা মামলার আসামি বানিয়ে একমাস দশ দিন কারাগারে আটকে রাখে। আহম্মাদ আলী আমার নিকট আত্মীয় ও স্বাক্ষী হওয়ার পাশাপাশি এই মামলাটি সে নিজে দেখাশুনা করে। এজন্য তাকে একটি মিথ্যে মামলা ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে। আমি সন্তানহারা একজন বিধবা মহিলা। এই সুযোগে আসামিরা আমাকেসহ আমার স্বাক্ষীদের জীবননাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। ফলে আসামিরা অত্যান্ত প্রভাবশালী হওয়ায় আমার আত্মীয়স্বজনসহ আমার শুভাকাংঙ্খিরা এই হত্যা মামলা সংক্রান্ত ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করতে ভয় পাচ্ছেন। এমনকি মামলার সাক্ষীরাও ভয় পাচ্ছে।
তিনি চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলাটির দ্রুত বিচার কার্যক্রম শেষ করার পাশাপাশি সাক্ষীদের যাতে অহেতুক হয়রানি করা না হয় সে ব্যাপারে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)