সাতক্ষীরাকে মাদকমুক্ত না করা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানের যোগদানের পর থেকে জেলা গোয়েন্দা শাখার সাফল্য ও তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় মাদক, অবৈধ অস্ত্র এবং জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছে।
সম্প্রতি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরা শহর এখন সিসি টিভির আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। এতে পুরো শহর এখন পুলিশের নজরদারিতে। সিসি টিভি মনিটরিং রুমে প্রতিনিয়ত পরিদর্শন করেন তিনি এবং সার্বক্ষণিক একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিটরিং ও সাধারণ মানুষের তথ্য প্রদানের জন্য একটি হটলাইন নম্বরে সার্বক্ষণিক পুলিশি সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। যাতে অপরাধীরা সহজে অপরাধ করতে না পারে। সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতায় জেলা পুলিশ এখন অনেক এগিয়ে।
পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানের নির্দেশে ও গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শকগণের নেতৃত্বে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ১৪টি মামলা, ফেব্রুয়ারি মাসে ১৪টি মামলা, মার্চ মাসে ২৬টি মামলা, এপ্রিল মাসে ৩৩টি মামলা এবং মে মাসে ৫টি মামলা হয়েছে। আর এসব মামলায় ৭২২ বোতল ফেন্সিডিল, ২২,৭৬১পিচ ইয়াবা, ৩০ কেজি গাঁজা, ২টি শুটারগান, ৫৬রাউন্ড গুলি ও ২টি ম্যাগজিন, পাসপোর্ট, পাসপোর্ট তৈরির অবৈধ সিল, পুরণকৃত পাসপোর্ট, পাথরের মূর্তি, পুরাতন কয়েন, পুরাতন কাসার থালা ও কয়েকটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ৪ মে শহরের সঙ্গীতা মোড় এলাকায় জননী কুরিয়ার সার্ভিসের অফিস থেকে সাতক্ষীরার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মাদক চালান বিশ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানের নির্দেশনায় খুলনা রেঞ্জ পর্যায়ে এটা সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের একটি অন্যতম সাফল্য। ফলে সাতক্ষীরার সবচেয়ে বড় মাদক চক্রের আঘাত পড়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আলী আহমেদ হাশেমী বলেন, জেলার গোয়েন্দা পুলিশের প্রতিটি কর্মকর্তা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছেন। পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানের নির্দেশে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, চোরাকারবারী, নাশকতা, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং ও নানা ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের এই অভিযান সাতক্ষীরাকে মাদকমুক্ত না করা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।