সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জরাজীর্ণ সাতক্ষীরা নিউ মার্কেটটি ভাঙা শুরু

সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জরাজীর্ণ পরিত্যক্ত ঘোষিত সাতক্ষীরা নিউ মার্কেটটি ভাঙার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরমধ্যদিয়ে ৩৭বছর পূর্বে নির্মাণকৃত নিউমার্কেট অধ্যায়ের সমাপ্তি হলো। এখানে আধুনিক একটি নিউমাকের্ট নির্মাণ করবে পৌরসভা।

ইতোপূর্বে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল নিউমার্কেট ভবনটি। সেখানকার দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ীদের নতুন করে নির্মিত নিউমার্কেটে বিধি অনুযায়ী দোকান বরাদ্বে অগ্রাধিকার দেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কতিপয় স্বার্থানেশী ব্যক্তি ব্যবসায়ীদের ভূলবুঝিয়ে বিভ্রান্ত করে বলে পৌর মেয়রসহ কাউন্সিলরদের অভিযোগ। ব্যবসায়ীরা পৌরকর্তপক্ষের সাথে আপোষে না যেয়ে ভবনটি ভাঙার কার্যক্রমের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে একটি রিট করে। এদিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা চললেও শেষ পর্যন্ত আদালতেই ব্যবসায়ীদের ভাগ্য নির্ধারিত হয়। রিট খারিজ হওয়ার পর সাতক্ষীরা পৌরসভার পক্ষে আদালতের রায় নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পৌর মেয়র, কাউন্সিলর ও সদর থানা পুলিশের উপস্থিতিতে সোমবার সকালে নিউ মার্কেটের পুরনো ভবনটি পৌরসভার তত্ত্বাবধানে ভাঙার কার্যক্রম শুরু হয়।

এই মার্কেটটি ০৪-০৪-২০১৭ তারিখে জনস্বার্থে অত্যন্ত ঝুকিপুর্ণ হওয়ায় পরিত্যক্ত (কনডেম) ঘোষণা করেছিল স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। ভয়াবহ দুর্ঘটনা ও মানুষের প্রাণহানী ঠেকাতে গত ৫ অগস্ট রাত ১০টা থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মার্কেটে প্রধান গেটে ও সকল দোকানে তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়েকবার নোটিশ ও মাইকিং করে দোকানের মালামাল সরিয়ে নিতে বলা হয়। এরপরেও নিউ মার্কেট ব্যবসায়ীরা কোন কর্ণপাত না করে মালামাল সরিয়ে নেয়নি। ভবন ভাঙা চলাকালীন সময়ে ব্যবসায়ীরা অন্যত্রে মালামাল ব্যস্ত সরিয়ে নিতে দেখা যায়। পৌরসভার পক্ষ থেকে পরে মানবিক কারণে দুপুর ২টা পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ব্যবসায়ীদের অনেকেই মামলার করার নেপর্থের সেই ইন্ধনদাতাদের খুজে বেড়ালেও তাদের খুজে পাওয়া যায়নি। ফলে অমানবিক উচ্ছেদ অভিযানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে উচ্ছেদ কার্যক্রমচলাকালে সেখানে সার্বক্ষণিক উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজল মোল্যা, পৌর প্যানেল মেয়র মো. আব্দুস সেলিম, কাজী ফিরোজ হাসান, পৌর কাউন্সিলর সৈয়দ মাহমুদ পাপা, শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, শেখ আব্দুস সেলিম, শফিকুল আলম বাবু, শহিদুল ইসলাম, মহিলা কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা, ফারহা দীবা সাথী, অনিমা রাণী মন্ডল, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল করিম, সহকারী প্রকৌশলী কামরুল আখতার, পৌরসভার সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বিশ্বাস, প্রকৌশলী সেলিম সরোয়ার, শহর পরিকল্পনাবিদ শুভ্র চন্দন মহলী, পৌরসভার সার্ভেয়ার মামুন প্রমুখ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)