কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী মারিয়ার অনেক স্বপ্ন

ষষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী প্রিয়া মারিয়া আক্তার জবা অনেক স্বপ্ন নিয়ে বড় হতে চাই। কিন্তু সে পারিবারিক নানা জটিলতা নানা বাড়ির পরিবারের সদস্যদের অত্যাচারে তার স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়েছে। কালিগজ্ঞ উপজেলার ছনকা গ্রামের শেখ আহম্মদ আলীর ছেলে শেখ শফিকুল ইসলাম ও পুত্র বধু সালমা খাতুনের একমাত্র কন্যা মারিয়া আক্তার জবা। পিতা শফিকুল ইসলাম দ্বিতীয় বিবাহ করায় তার মাতা সালমা খাতুন সংসারের হাল ধরতে কাজের সন্ধানে বিদেশে চলে যান এবং মেয়েকে নানা বাড়ি রেখে যান। দেশে ফিরে মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় সালমা। এত সব ঝড় ঝাপটার মধ্য দিয়েও লেখা-পড়া ছাড়েনি জবা। রিতিমত ক্লাসে এক রোল তার। ২০১৭ সালে পিএসসিতে এ প্লাস পেয়েছে। সে কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পড়া-শুনা করছিল। মা বিছানায় শয্যাশায়ী হওয়ায় নানা বাড়ির পরিবারের সদস্যদের অমানুষিক অত্যাচার সইতে না পেরে নানা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়ে। গত ইং ২৩ আগস্ট ২০১৮ সাতক্ষীরা শহরের টিএন্ডটি টাওয়ারের সামনে জবাকে দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থাকতে দেখে কৌতুহল বশত জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আয়শা সিদ্দিকা জিজ্ঞাসা করে তোমার কি হয়েছে। প্রতিত্তরে জবা বলে আমি আমার নানা বাড়ি থেকে শারীরিক ও মানুষিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাসা থেকে চলে এসেছি। আমি আর ফিরে যাবোনা। আমাকে একটা কাজ দিন। আমি আপনার কাছে থাকতে চাই।

জবাকে একা ছেড়ে দেওয়া নিরাপদ হবেনা মনে করে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য মিসেস মাহফুজা সুলতানাকে সব কিছু জানায় এবং পরামর্শ করে তার সম্মতি নিয়ে জবাকে আমার হেফাজতে রেখেছি। আমি এই মর্মে ২৮ আগস্ট মঙ্গলবার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর প্রিয়া মারিয়া আক্তার জবা’র জিম্মা গ্রহণ প্রসঙ্গে লিখিত দরখাস্ত করেছি। আমি চাই মেয়েটির ভবিষ্যৎ যেন নষ্ট না হয়। সেজন্য জেলা পরিষদের দারস্থ হয়েছি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)