শোভনালীতে শিক্ষকের কাছ থেকে চোরাই স্যালো মেশিন উদ্ধার

জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :
আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের বসুখালী গ্রামে চোরাই স্যালো (সেচ) মেশিন উদ্ধারের পর চোর শনাক্ত হলেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
শোভনালীর বসুখালী গ্রামের মৃত বাবর আলি গাজীর ছেলে মাছুমের একটি ৩ ইঞ্চি স্যালো মেশিন তার মৎস্য ঘেরের বাসা থেকে ২০/২২ দিন আগে চুরি হয়ে যায়। অনেক খোজাখুজি করেও সন্ধান মেলেনি। গত ৪ এপ্রিল একই গ্রামের (শিক্ষক বসুখালী সরঃ প্রাঃ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার) সোহাগ রেজা হ্যাপি মাস্টারের ঘেরের মেশিনে স্টার্ট না হওয়ায় তিনি বিল্লাল নামে একজনকে ডেকে স্টার্ট করানোর চেষ্টা করেন। বিল্লাল মেশিন দেখে চিনে ফেলেন সেটি মাছুমের চুরি যাওয়া মেশিন। বিল্লাল সোহাগকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি মেশিনটি তার বহুদিনের পুরনো বলে দাবী করেন।পরদিন সকালে মাছুমরা ঘেরে গিয়ে দেখেন মেশিন সরিয়ে ফেলানো হয়েছে। এদিন তারা গোপনে খোজাখুজির এক পর্যায়ে বাকড়া গ্রামের সুমন্ত বাছাড়ের বাড়ি থেকে মেশিনটি উদ্ধার করেন।
মাছুমের ভাই হাবিবুর রহমান বলেন, ৬ এপ্রিল সাংবাদিক ও পুলিশ গেলে সোহাগ মোবাইলে তাদেরকে (মাছুমদের) মেশিন চুরির কথা না বলে হাওলাত দিয়েছি বলার অনুরোধ জানিয়েছিল।
এ বিষয়ে মাস্টার সোহাগ জানান, তিনি চোরাই মেশিন কিনেছিল সাইদুল ও সাইদদের নিকট থেকে ৬০০০ টাকা দিয়ে। পরে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহবাজ গোলদার ও সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন মেশিন চুরি ও উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিক্ষকের বিরুদ্ধে মহিলা অভিভাবকদের সাথে অশোভন কথাবার্তা বলাসহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে। তাকে প্রাথমিক সতর্কও করা হয়েছে। চোরাই মেশিনের বিষয়টি নিয়ে কমিটির সভা আহবান করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তারা জানান।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)