শেষ বলের পরের অনুভূতি মনে নেই মোস্তাফিজের

দলের সবার সাথে বেশ চনমনে, সর্বদাই ব্যস্ত থাকেন হাসি ঠাট্টায়। কিন্তু যখনই ডাক পড়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে, তখনই যেনো খোলসে ঢুকে যান বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। মুখ দিয়ে বের হয় না খুব বেশি কথা, অল্পেই সেরে ফেলেন প্রশ্নোত্তর পর্ব। যেনো কোনভাবে শেষ হলেই বাঁচেন।

কিন্তু সবসময় কি আর এই পালিয়ে বাঁচতে দেয়া যায়। বিশেষ করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত শেষ ওভার করে জয় এনে দেয়ার পরে তো মোটেই না। ম্যাচের দিন তাকে পাওয়া যায়নি। পরদিন টিম হোটেলে অবশেষে সংবাদ মাধ্যমের কাছে ধরা পড়েন মোস্তাফিজ, শোনান আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ মুহূর্তগুলোর কথা।

তবে এখানেও বিপত্তি! খুব বেশি কথা যে বের করা যায় না তার মুখ থেকে। দু-তিন শব্দ বলেই সারল্যমাখা এক হাসিতে বুঝিয়ে দেন আর কিছু বলার নেই তার। তবু এরই মধ্যে বেশ সবিস্তরেই শোনান সে ম্যাচের গল্প।

ম্যাচের শেষ ওভারে আফগানদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৬ বলে ৮ রান। প্রথম বলে মাত্র ৪ রান দেন মোস্তাফিজ। সমীকরণ হয় ১ বলে ৪ রান। ফিজের করা শেষ বলটি ব্যাটেই লাগাতে পারেননি সামিউল্লাহ শেনওয়ারি। বাংলাদেশ পায় ৩ রানের রোমাঞ্চকর জয়।

মোস্তাফিজের কাছে জানতে চাওয়া হয় শেষ বলটা করার পর ওই মুহূর্তের অনুভূতি কেমন ছিল? তার সোজাসাপটা উত্তর, ‘মনে নাই।’ তাহলে ম্যাচ জেতার পর নিজের অনুভূতি কেমন ছিল? এবারেও সাধাসিধা জবাব, ‘ওরকম কিছু না, আমার সবসময় একইরকম থাকে।’

শেষ বলে চার-ছক্কা হতে পারে, এসব মাথায় ঘুরছিল? কাটার বয়ের জবাব, ‘আমি অত বেশি ভাবি না।’ ভয় লাগছিল? উত্তর- ‘ভয় পেয়ে লাভ নাই।’ আচ্ছা তাহলে এবার শেষ বলের পরিকল্পনার কথাটাই বলুন? তিনি বলেন, ‘একটু সামনে (শর্ট বল) করলে ব্যাটসম্যানের নাগালের বাইরে থাকে। পেছনে করলে, টানলেও পেছনের দিক থেকে বাদ দিলে মাঠ অনেক বড় ছিল। ভাবছিলাম ছয় হলে হলো, কিন্তু চার যেন না হয়।’

নিজের অনুভূতির কথা তো জানিয়েছেন সবসময় একই থাকে, তাহলে এ জয়ের পরে দলের অবস্থা এখন কেমন? উত্তরে আবারও নিজের খোলসে আবদ্ধ মোস্তাফিজ, উত্তরে শুধুই বললেন, ‘ভালো।’

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)