শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ১৬ বছর পূর্তিতে কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ১৬ বছর পূর্তিতে কলারোয়া উপজেলা আ.লীগ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেছ। ২০০২ সালের এ দিনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে তিনি সাতক্ষীরা থেকে যশোর যাওয়ার পথে কলারোয়ায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। এতে তিনি অক্ষত থাকলেও তার ব্যবহৃত গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত হন তার সফরসঙ্গীরা। এ ঘটনার পর কলারোয়া থানায় মামলা রেকর্ড না হওয়ায় আদালতে মামলা করেন কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোসলেমউদ্দিন। কিছুদিন পর সে মামলাও খারিজ হয়ে যায়। অবশেষে এক যুগ পর ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। এ সংক্রান্ত তিনটি মামলায় পুলিশ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। ২০০২ সালের ২৬ আগস্ট কলারোয়ার হিজলদি গ্রামের আ.লীগের এক নেত্রী গণ-ধর্ষণের শিকার হয়ে সাতক্ষীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা খুলনা সফরকালে এ খবর পেয়ে তাকে দেখতে সাতক্ষীরা যান। নির্যাতিত ওই নেত্রীর সঙ্গে কথা বলে শেখ হাসিনা হাসপাতাল মোড়ে দাঁড়িয়ে এক পথসভায় সরকারের সমালোচনা করেন। এরপরই তিনি যশোরের উদ্দেশে সাতক্ষীরা ত্যাগ করেন। পথিমধ্যে কলারোয়ায় তার গাড়িবহরে গুলি ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এই দিনটি উল্লেখ্য করে কলারোয়া উপজেলা আ.লীগ সকল চার্জশিটভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শান্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টুর নেতৃত্বে দলটির নেতাকর্মী এ বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ গ্রহণ করেন। মিছিলটি কলারোয়া বাজার প্রদক্ষিণ শেষে কলারোয়া থানার সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন-উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, আ.লীগের জেলা শাখার উপদেষ্টা ও কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের সাবেক আহবায়ক সাজেদুর রহমান খাঁন চৌধুরী মজনু, সাংগঠনিক সম্পাদক সম মোরশেদ আলী ভিপি ও রবিউল আলম মল্লিক রবি, পৌর সভাপতি আজিজুর রহমান, সাবেক পৌর কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, লাঙ্গলঝাড়া আ.লীগ সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এমএ কালাম, কেঁড়াগাছি আ.লীগ সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান ভূট্টোলাল গাইন, উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মিঠু, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি কাজী আসাদুজ্জামান সাহাজাদা, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার জিল্লুর রহমান, বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সভাপতি রুবেল মল্লিক, সহ.সভাপতি মোস্তফা কামাল মোস্ত, আ.লীগ নেতা আব্দুল মালেক, আলহাজ্ব আইয়ুব হোসেন, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এসএম আলমগীর হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা সুমন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক শাকিল খান জর্জ, চন্দনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা রাশেদ, যুগিখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক ইমরান হোসেন মুন্না, জয়নগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ পারভেজ, তরুনলীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান রিপন, ছাত্রলীগ নেতা সাহিদুজ্জামান তুহিন, নেতা শেখ মারুফ আহম্মেদ জনি, নাইস, ফাহিম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস হোসেন রাসেলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)