রিজার্ভের অর্থ চুরি হ্যাকিংয়েই: সিআইডি

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরি হয়েছে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে। বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেসনিক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি ফিলিপাইনের আদালতে জমা দিয়েছে সিআইডি।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ও রিজার্ভ চুরি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, এ প্রতিবেদনটি মামলার সাক্ষ্য হিসেবে কাজে লাগবে।

তিনি বলেন, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা চুরি হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ফিলিপাইনের আদালতে গত ৫ জুলাই ফরেনসিক প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডি’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান ফিলিপাইনের আদালতে এ ফরেনসিক প্রতিবেদন দাখিল করেন। তার সঙ্গে ছিলেন সংশ্লিষ্ট আইটি কর্মকর্তারা।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরি করে নেয় দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে ২ কোটি ডলার যায় শ্রীলংকা এবং ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার যায় ফিলিপাইনের জুয়ার আসরে। ঘটনার প্রায় একমাস পর বিষয়টি বাংলাদেশ জানতে পারে ফিলিপাইনের একটি পত্রিকার সংবাদের মাধ্যমে।

এরপরই বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে যায়। শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। অনেকটা চাপে পড়ে পদ ছাড়েন তৎকালীন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। বড় ধরনের রদবদল হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ে। ১৫ মার্চ ২০১৬ বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা মানি লন্ডারিং আইনে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরির অভিযোগ এনে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় সিআইডিকে।

মামলা তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান। তদন্ত এখনো চলছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)