ম্যাচে ‘অনিশ্চিত’ ফিরমিনোর গোলেই জিতল লিভারপুল

পুরো ম্যাচজুড়েই দাপট দেখিয়ে খেলেছে লিভারপুল। তবু কাঙ্ক্ষিত গোলের আশায় ড্র হতে বসেছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) বিপক্ষে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি। ২-২ গোলে সমতায় থাকা ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবার্তো ফিরমিনো।

গত শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে চোখে আঘাত পান ফিরমিনো। যার ফলে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ‘অনিশ্চিত’ ছিলেন তিনি। ফিরমিনোকে ছাড়াই পিএসজির বিপক্ষে প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন লিভারপুল ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপ। কিন্তু দলের প্রয়োজনে নামতে হয় ফিরমিনোকে। নেমে দলের জয়সূচক গোলটিও করেন তিনি।

ঘরের মাঠে ম্যাচের প্রথমার্ধেই দুই গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। ফিরমিনোর অনুপস্থিতিতে দলে সুযোগ পাওয়া ড্যানিয়েল স্টারিজের গোলেই প্রথম লিড নেয় লিভারপুল। বাঁ দিক থেকে স্বদেশি ডিফেন্ডার অ্যান্ড্রু রবার্টসনের ক্রসে হেডে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড।

মিনিট ছয়েক বাদে জেমস মিলনারের গোলের ব্যবধান দ্বিগুণ করে ইংলিশ ক্লাবটি। ডিবক্সের মধ্যে ডাচ মিডফিল্ডার জর্জিনিয়ো ভেইনালডামকে পিএসজির ডিফেন্ডার হুয়ান বার্নাত অহেতুক ফাউল করলে পেনাল্টি পায় লিভারপুল। সফল স্পট কিকে ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি করেন মিলনার।

তবে ৪০তম মিনিটেই এক গোল শোধ করে পিএসজি। ডি বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়ে দলের পক্ষে প্রথম গোলটি করেন পিএসজির বেলজিয়ান ডিফেন্ডার থমাস মুনিয়ের। ১-২ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তারা।

দ্বিতীয়ার্ধে ৮৩ মিনিট পর্যন্ত আর গোলের দেখা পায়নি কোন দল। ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে স্টারিজের বদলের ফিরমিনোকে মাঠে নামান লিভারপুল। ৮৩তম মিনিটে সমতাসূচক গোল করেন পিএসজির ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড কাইলিয়ান এমবাপে। ম্যাচে তখন ২-২ ব্যবধানে সমতা।

সবাই যখন ড্র’ই ধরে নিয়েছিল ম্যাচটি তখনই আচমকা গোলে দলের জয় নিশ্চিত করেন ফিরমিনো। অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ভার্জিল ভন ডাইকের পাস পেয়ে ডি-বক্সে সামনে থাকা এক জনকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে জয়সূচক গোলটি করেন ফিরমিনো।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)