মোবাইল কোম্পানির নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনা লাঘব হয়নি নলতার গ্রাহকদের

তরিকুল ইসলাম লাভলু :
মোবাইল সেবার ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও সেবার মানের ক্ষেত্রে অনেকটা পিছনের দিকে পড়ে গেছেন সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার ইন্দ্রনগর,কাজলা,কাশিবাটি,মাটিকোমরাসহ আশেপাশের কয়েকটা এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় বিড়ম্বনায় ভুগছে এসব এলাকার হাজার হাজার গ্রাহক। প্রতিনিয়ত কলড্রপ, নি¤œমানের ভয়েস সেবা, আর নেটওয়ার্ক আসা/যাওয়ার ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ গ্রাহক শরিফুল ইসলাম জানান, প্রিয়জনের সাথে জরুরি কথা বলা প্রয়োজন কিন্তু দুর্বল নেটওয়ার্কের কারণে অপর প্রান্তের প্রিয়জনের কথা বুঝতে পারা যায়না। সংযোগ পাওয়া গেলেও পরস্পরের কথা স্পষ্ট শোনা যাচ্ছেনা। আর এমন বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে এসব এলাকায় ব্যবহারকারী গ্রামীণ এবং বাংলালিংক গ্রাহকদের। এ কারণে অনেক গ্রামীণ এবং বাংলালিংক গ্রাহকরা এই অপারেটর বাদ দিয়ে বিকল্প মোবাইল অপারেটরের কথা ভাবতে শুরু করেছেন। আবার কেউ কেউ গ্রামীণ এবং বাংলালিংক সিম বন্ধ করে দিয়ে রবি সিমের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ভাল থাকায় তারা রবি সিম ব্যবহার করতে শুরু করেছে বলে জানা যায়। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে এসব এলাকার অনেক গ্রাহকেরা স্থায়ীভাবে বাংলালিংক এবং গ্রামীণ সিম বন্ধ করে দেওয়ার কথাও ভাবছেন।
ভুক্তভোগী ইন্দ্রনগর গ্রামের ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম,শিক্ষক মিজানুর রহমান, আঃ সালাম, জামাল,করিম, মাহবুব, মাটিকোমরা গ্রামের লাভলু আক্তার,ডাঃ ফজলুর রহমান, ইদ্রিস,আঃ খালেক, সাইফুদ্দিন, কাজলা গ্রামের সফিকুল, সাদিকুল, সিদ্দিকুর রহমান, শিক্ষক আবু রাসেলসহ অনেকেই জানান,তাদের গ্রামে গ্রামীণ,বাংলালিংক,রবির কোন নেটওয়ার্ক না থাকায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে কোন যোগাযোগ করতে পারছেনা। এই নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনার হাত থেকে রেহাই পেতে একাধিকবার কাস্টমার সার্ভিসে অভিযোগ করেছেন কিন্তু কোন সুফল পাওয়া যায়নি বলেও জানান। এব্যাপারে জানতে চাইলে নলতা হাটখোলার গ্রামীণ কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের তত্ত্বাবধানে থাকা লাভলু আকতার জানান,অভিযোগ পাওয়ার পর কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হলে মাপজরিপ করে দেখা যায়,নলতায় যে টাওয়ার আছে তার গেজে যে ক্ষমতা তার থেকে অভিযুক্ত এলাকাগুলো দূরত্ব বেশি। যার কারণে এই সমস্যা। তাই গ্রামীণ ফোন কোম্পানির টেরিটোরি অফিসার,এরিয়া ম্যানেজার কোম্পানির পক্ষ থেকে টাওয়ার বাসানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত তার কোন সুরাহ হয়নি।
এদিকে এসব এলাকার নেটওয়ার্কের সমস্যার কথা ২০১৭ সালের জুন মাসে কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার পরে সংবাদটি গ্রামীনফোন কোম্পানির হেড অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তারা ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের ভিতরেই এসব এলাকার নেটওয়ার্কের সমস্যা সমাধান করবে বলে স্থানীয় গ্রাহক-সেবা কেন্দ্রেরের মাধ্যমে জানায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় দীর্ঘ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিসেম্বর মাস শেষ হলেও এখনও পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি সংশ্লিষ্ট এলাকার মোবাইল কোম্পানির দায়িত্ব রতরা।
তাই অনতিবিলম্বে যাতে ভুক্তভোগী এলাকায় মোবাইল গ্রাহকরা সমস্যার সমাধান পেতে পারে সে জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামানা করেছেন।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)