মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানায় জেলা পরিষদের অর্থায়ন কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল

স্টাফ রিপোর্টার:

জেলা পরিষদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে পরিচালিত সাতক্ষীরার মুক্তিযোদ্ধা স.ম আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানায় জেলা পরিষদের অর্থায়ন কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল নিশি জারি করেছেন মহামান্য হাইকোর্ট। গত বৃহষ্পতিবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বিবাদীদের আগামি ১৮ জানুয়ারির মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন।মামলায় সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী, এএনএম মঈনুল হক, জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমান  জেলা পরিষদ সদস্য মীর জাকির হোসেন, শিল্পী রানী মহালদার ও সৈয়দ আমিনুর রহমানসহ ১২জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
গত ৪ জানুয়ারি আইনজীবী অ্যাড. সত্যরঞ্জন মন্ডলের দায়েরকৃত ১৪/২০১৭ নং রিট পিটিশনে দাবি করা হয়েছে, দু’ একর ২৫ শতক জমিসহ স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি জেলা পরিষদের নামে হস্তান্তর দেখিয়ে ২০১৩ সাল থেকে জেলা পরিষদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হিসেবে সাতক্ষীরার মুক্তিযোদ্ধা স.ম আব্দুর রউফ কমপ্লেক্সে ও এতিমখানা জেলা পরিষদের অর্থায়নে আইন বহির্ভূতভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সালের আগষ্ট মাস পর্যন্ত ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বোর্ডিং খরচ, শিক্ষক ও কর্মচারিদের বেতন ভাতা বাবদ এক কোটি দু’ লাখ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া রউফ কমপ্লেক্সের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য দু’ কোটি ৩৮ লাখ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। এসব টাকা সবই জেলা পরিষদের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে। অথচ কাগজে কলমে ওই প্রতিষ্ঠানের নামে হস্তান্তর অযোগ্য কবরস্থানসহ সাড়ে ২০ শতক জমি হস্তান্তর দেখানো হয়েছে যা’র দাতা হিসেবে ভিন্ন ব্যক্তির নাম দেখা গেছে।
রিট পিটিশনে আরো বলা হয়, গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী এএনএম মঈনুল হক স্থানীয় সরকার উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে এক চিঠি দিয়ে জেলা পরিষদের নামে কিছু জমি দান হিসেবে গ্রহণ করার জন্য বলা হয়। ওই চিঠির সূত্র ধরে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমান ও স.ম আব্দুর রউফ কমপ্লেক্সের সভাপতি হিসেবে মহামান্য হাইকোর্টে ১৩৪৫৪ নং রিট পিটিশন দাখিল করেন। পিটিশনে জেলা পরিষদের অনুকুলে স.ম আব্দুর রউফ কমপ্লেক্সে ও এতিমখানার নামে কেন ওই জমি গ্রহণ করা হবে না তার নির্দেশনা চাওয়া হয়। বিচারকদ্বয় স্থানীয় সরকার উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়কে আগামী দু’ মাসের মধ্যে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রিট পিটিশনের কার্যক্রম নিষ্পত্তি করে দেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)